ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা কাটোয়ায়। সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই দুর্ঘটনার ছবি। সেখানে দেখা যাচ্ছে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে আসছিল যাত্রী বোঝাই বাসটি। এমনকী প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যে বহু যাত্রী বাসের মাথাতেও চেপে পড়েছিলেন। এদিকে আচমকাই বাসটি বেঁকে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উলটে যায়। বাসের মাথায় যারা বসেছিলেন তারাও ছিটকে পড়েন। কয়েকজন বাসের নীচে চাপা পড়ে যান। অনেকেরই মাথা ফেটে গিয়েছে। হাত পা ভেঙে গিয়েছে। একজন যাত্রীর মৃত্যুর খবর মিলেছে। তার নাম জানা যায়নি। তবে তিনি গুড় ব্যবসায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও অন্তত ৪০ জন জখম হয়েছেন এই দুর্ঘটনায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম- কাটোয়া রোডে নগর মোড়ে মারাত্মক দুর্ঘটনার মুখে পড়ে বাসটি। প্রচন্ডে শব্দে উলটে যায় বাসটি। কিছু বোঝার আগেই দুর্ঘটনাটি ঘটে যায়। স্থানীয়রাই প্রথমে উদ্ধারকাজে হাত লাগান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। অনেকে বাসের জানালা দিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন। এরপর কাঁচ ভেঙে যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। বাসের নীচে যারা আটকে পড়েছিলেন তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাসের ছাদ থেকে কয়েকজন একবারে ছিটকে পড়েন রাস্তায়।
কীভাবে হল এই দুর্ঘটনা? বাসিন্দাদের দাবি, দুর্ঘটনার আগে বাসের স্প্রিং পাতি ভেঙে গিয়েছিল। সেকারণে আর বাসটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি চালক। একেবারে উলটে যায় বাসটি। দধিয়া-কাটোয়া ভায়া পাঁচুন্দি রুটের যাত্রীবাহী বাসটি মূলত নগর মোড়ের কাছে আসতেই দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। প্রচন্ড শব্দে ছুটে আসেন সাধারণ মানুষ। তাঁরাই উদ্ধারকাজে হাত লাগান। একে একে জখমদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে প্রশ্ন উঠছে কীসের ভিত্তিতে বাসটিকে ফিট সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল? অভিযোগ উঠেছে বাসটির যন্ত্রাংশ যদি ঠিকঠাক করে পরীক্ষা করা হত তবে এতবড় দুর্ঘটনা ঘটত না। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বাসটি সোজা রাস্তা ধরেই আসছিল। কিন্তু আচমকাই রাস্তার পাশে বেঁকে গেল। পাশাপাশি যাবতীয় নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বাসের মাথাতেও অনেকে চেপে বসেছিলেন। কেন পুলিশ এনিয়ে আগাম সতর্ক হল না? কেন পুলিশ ওই বাসের বিরুদ্ধে আগাম ব্যবস্থা নিল না। এই প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। পুলিশ, প্রশাসন পরিবহণ দফতরের ভূমিকা নিয়েও বড় প্রশ্ন উঠেছে।