বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Kaushiki Amavasya Special Train: শনি ও রবিবার কৌশিকী অমাবস্যা স্পেশাল ট্রেন চালাবে রেল, দেখুন সময়সূচি ও স্টপেজ

Kaushiki Amavasya Special Train: শনি ও রবিবার কৌশিকী অমাবস্যা স্পেশাল ট্রেন চালাবে রেল, দেখুন সময়সূচি ও স্টপেজ

শনি ও রবিবার কৌশিকী অমাবস্যা স্পেশাল ট্রেন চালাবে রেল। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এএনআই)

Kaushiki Amavasya Special Train: আগামী রবিবার (২৮ অগস্ট) পর্যন্ত হাওড়া থেকে রামপুরহাট পর্যন্ত সেই বিশেষ মেল/এক্সপ্রেস ট্রেন চালানো হবে। কোন কোন স্টেশনে দাঁড়াবে, কখন ট্রেন ছাড়বে, তা দেখে নিন।

কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষ্যে স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে পূর্ব রেল। আগামী রবিবার (২৮ অগস্ট) পর্যন্ত হাওড়া থেকে রামপুরহাট পর্যন্ত সেই বিশেষ মেল/এক্সপ্রেস ট্রেন চালানো হবে। প্রতিদিন ভোরে হাওড়া থেকে ট্রেন ছাড়বে। ফিরতি পথে সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে রামপুরহাটের মধ্যে ট্রেন চলবে।

হাওড়া-রামপুরহাট স্পেশাল মেল/এক্সপ্রেসের সময়সূচি

  • ভোর ৫ টা ৪৫ মিনিটে হাওড়া থেকে ছাড়বে। 
  • শেওড়াফুলি: সকাল ৬ টা ১৫ মিনিটে ছাড়বে। 
  • ব্যান্ডেল: সকাল ৬ টা ৪৫ মিনিটে ছাড়বে। 
  • বর্ধমান: সকাল ৭ টা ৪৩ মিনিটে ছাড়বে। 
  • গুসকরা: সকাল ৮ টা ১৭ মিনিটে ছাড়বে। 
  • বোলপুর: সকাল ৮ টা ৩৮ মিনিটে ছাড়বে। 
  • সাঁইথিয়া: সকাল ৯ টা ১০ মিনিটে ছাড়বে। 
  • রামপুরহাট: সকাল ৯ টা ৫০ মিনিটে পৌঁছাবে।

রামপুরহাট-হাওড়া স্পেশাল মেল/এক্সপ্রেসের সময়সূচি

  • সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে রামপুরহাট থেকে ছাড়বে। 
  • সাঁইথিয়া: বেলা ১২ টা ২ মিনিটে ছাড়বে। 
  • বোলপুর: বেলা ১২ টা ৩১ মিনিটে ছাড়বে। 
  • গুসকরা: বেলা ১২ টা ৫০ মিনিটে ছাড়বে। 
  • বর্ধমান: দুপুর ১ টা ২৭ মিনিটে ছাড়বে। 
  • ব্যান্ডেল: দুপুর ২ টো ৩৭ মিনিটে ছাড়বে। 
  • শেওড়াফুলি: দুপুর ৩ টে ১৩ মিনিটে ছাড়বে।
  • হাওড়ায় পৌঁছাবে দুপুর ৩ টে ৫৫ মিনিটে।

রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রেনগুলিতে মোট ১০ টি কোচ থাকবে। আটটি দ্বিতীয় শ্রেণির কোচ থাকবে। দুটি চেয়ার ক্লাস থাকবে। স্পেশাল ট্রেন হওয়ায় বাড়তি ভাড়া দিতে হবে।

কৌশিকী অমাবস্যা: তারাপীঠে মা তারার আবির্ভাব তিথি

কৌশি বা কৌশিকী অমাবস্যাকে তারাপীঠের তারা মায়ের আবির্ভাব তিথি বলে ধরা হয়। বছরের অন্যান্য অমাবস্যার তুলনায় কৌশি বা কৌশিকী অমাবস্যা কিছুটা আলাদা হয়ে থাকে। কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে মা তারার মায়ের আর্বিভাব হিসেবে মনে করা হয়। তাই প্রতি বছর কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠে ধুমধাম করে মা তারার পুজো হয়। এবারও ব্যতিক্রম হচ্ছে না। 

আরও পড়ুন: Trains Cancelled in Howrah-Barddhaman: ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ধমান শাখায় বাতিল একাধিক লোকাল, পুরো যাবে না কয়েকটি ট্রেন

কৌশিকী অমাবস্যা কেন নামকরণ হয়েছে?

শ্রীশ্রীচণ্ডীর আখ্যান অনুযায়ী, পুরাকালে কঠোন সাধনা করেছিলেন শুম্ভ ও নিশুম্ভ। তাতে তুষ্ট হয়েছিলেন ব্রহ্মা। তার ফলে শুম্ভ ও নিশুম্ভ বর লাভ করেছিলেন। দুই অসুর ভাইকে কোনও পুরুষ বধ করতে পারবেন না বলে বর দেওয়া হয়েছিল। শুধুমাত্র মাতৃগর্ভে জন্ম নেওয়া কোনও নারী তাঁদের বধ করতে পারতেন। কিন্তু ধরাধামে তেমন কোনও নারী ছিলেন না।

আখ্যান অনুযায়ী, কৈলাশে সকলের সামনে পার্বতীকে 'কালিকা' বলে ডেকেছিলেন শিব। তাতে অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন পার্বতী। পূর্বজন্মে আত্মাহুতির জন্য তাঁর গায়ের রং কালো ছিল। শিবের ‘কালিকা’ ডাকে ক্রুদ্ধ হয়ে কঠোর তপস্যা শুরু করেছিলেন পার্বতী। কঠোর তপস্যার শেষে মানস সরোবরের পবিত্র জলে স্নান করেছিলেন। তার ফলে সব কালো ধুয়ে চলে গিয়েছিল। তা থেকেই কৃষ্ণবর্ণ দেবী কৌশিকীর আর্বিভাব হয়। তাঁর আবির্ভাবের তিথিকে কৌশিকী অমাবস্যা বলা হয়। যে তিথিতে দুই অসুর ভাই শুম্ভ ও নিশুম্ভকে বধ করেছিলেন।

বন্ধ করুন