পূর্ব বর্ধমানের দরিয়াপুরে ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডল খুনে আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন মূল অভিযুক্ত সোমনাথ মণ্ডল। সম্পর্কে সব্যসাচীবাবুর খুড়তুতো ভাই তিনি। মঙ্গলবার বর্ধমান CJM আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। তাঁকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজকে পাঠিয়েছেন বিচারক।
গত ২২ অক্টোবর রাতে পূর্ব বর্ধমানের দরিয়াপুরে খুন হন হাওড়ার ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডল। নিজের বাড়িতেই তাঁকে গুলি করে ও কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনার তদন্তে নেমে জানিসর ওরফে রিকি নামে এক সুপারি কিলারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে পরিবারের তরফে জানানো হয় খুনের পিছনে হাত রয়েছে সব্যসাচীর খুড়তুতো ভাই সোমনাথের। তার পর থেকেই সোমনাথের খোঁজ শুরু করেছিলেন গোয়েন্দারা। কিন্তু মাস ঘুরতে চললেও অভিযুক্তের খোঁদ পাননি তাঁরা। এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন তিনি।
তদন্তে উঠে এসেছে, সম্পত্তি বিবাদের জেরেই খুন করা হয়েছে সব্যসাচীবাবুকে। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, জ্যেঠতুতো ভাইকে খুনের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা সুপারি দিয়েছিলেন সোমনাথ। তার মধ্যে ২০ লক্ষ টাকা অগ্রিম দেওয়া হয়। সোমনাথই খুনিদের সব্যসাচীবাবুর বাড়ি চিনিয়ে দেয়। খুনের দিন সন্ধ্যায় সেখানে পৌঁছে সব্যসাচীবাবুর গাড়ির চালককে গলায় ছুরি ধরে সব্যসাচীবাবুকে ডাকতে বাধ্য করে খুনিরা। চালকের ডাক শুনে তিনি নীচে নামতেই ঝাঁপিয়ে পড়ে খুনিরা। প্রথমে সব্যসাচীবাবুকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় রিকি। তার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় তাঁকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সব্যসাচী মণ্ডলের।