বিনা চিকিৎসায় করোনারোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। সমীর মুন্ডা নামে ওই যুবকের মৃত্যুতে চা বাগান থেকে বহু মানুষ এসে ওয়ার্ড মাস্টারের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। দীর্ঘক্ষণ পর পুলিশ পৌঁছে পরিস্তিতি সামলায়।
পরিবারের দাবি, জ্বরে আক্রান্ত সমীরকে মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসেন আত্মীয়রা। পরীক্ষা করে জানা যায় তিনি করোনা সংক্রমিত। ভোর ৫টা নাগাদ তাঁকে জলপাইগুড়ির বিশ্ব বাংলা করোনা হাসপাতালে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়। অভিযোগ, সকাল ৯টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও মেলেনি অ্যাম্বুল্যান্স। শেষে যখন অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছয় ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে সমীরের।
যুবকের মৃত্যু হতেই হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। ওয়ার্ড মাস্টার কুলীন সিনহাকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পরিজনরা। ততক্ষণে চা বাগান থেকে এসে পড়েন যুবকের বন্ধুবান্ধবরাও। তাঁরাও বিক্ষোভে সামিল হন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা বিক্ষোভ চলার পর পুলিশ এসে পরিস্থতি সামাল দেয়।
এই ঘটনায় জেলায় করোনা চিকিৎসার পরিষেবার কঙ্কালসার চেহারাটা প্রকাশ্যে চলে এসেছে বলে দাবি বিরোধীদের। তাদের প্রশ্ন, একটা অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য যদি ৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় তাহলে হাসপাতালগুলোর অবস্থা কী তা সহজেই অনুমান করা যায়।