প্রসূতিমৃত্যুর জেরে উত্তেজনা ছড়াল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। মৃতের পরিজনদের দাবি, হাসপাতালের গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে আগমনী হাজরা নামে ওই গৃহবধূর। রবিবার এই অভিযোগে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পরিজনরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তদন্তের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
মৃতের পরিজনরা জানিয়েছেন, আগমনীদেবীর ৬ বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দেন তিনি। চার দিন পর প্রসূতি ও পুত্রসন্তানকে বাড়ি নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা।
অভিযোগ, তার পর থেকেই প্রসবের জন্য ব্যবচ্ছেদের অংশ থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। শনিবার রক্তক্ষরণের মাত্রা বাড়লে আগমনীদেবীকে ফের বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিজনরা। রবিবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এর পরই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মৃতের আত্মীয়-বন্ধুরা। তাঁদের অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের পর ব্যবচ্ছেদের অংশ ঠিক করে সেলাই করা হয়নি। এমনকী মহিলাকে অত্যন্ত অপরিচ্ছন্ন একটি ঘরে রাখা হয়েছিল। যার জেরে সংক্রমণ ছড়িয়েছে তাঁর ক্ষতে।
বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বোলপুর থানার পুলিশ। মৃতের পরিজনদের তদন্তের আশ্বাস দেন। এর পর বিক্ষোভ থামে। তবে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।