প্রশাসনের তরফে আগে জানানো হয়েছিল, ঐতিহ্যবাহী কেন্দুলি মেলা হবে না। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত বদল হয়। প্রশাসনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, মেলা হবে। তবে ছোট করে। ফলে গঙ্গাসাগর মেলার পর বীরভূমের জয়দেব কেন্দুলি মেলাও এবারে হবে। উল্লেখ্য, প্রতি বছর মকর সংক্রান্তির দিন লাখ লাখ পুণ্যার্থীর পুণ্যস্নানের ব্যবস্থা রয়েছে।
বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ জয়দেব কেন্দুলি মেলা প্রসঙ্গে জানান, ‘এই মেলার সঙ্গে বহু ইতিহাস জড়িয়ে আছে। ধর্মীয় আবেগ আমরা বন্ধ করতে পারব না। এই মেলায় বিভিন্ন বাউলের দল, কীর্তনিয়ার দল আখড়া করেন। যেহেতু এটা বাউল শিল্পীদের আখড়া হিসাবে পরিচিত, তাই সেই ঐতিহ্যের কথা মাথায় মেলা হবে।
অন্যান্য বছর মেলায় যে পরিমাণ দোকানপাট থাকে, এবার সেই সংখ্যক দোকানপাট থাকছে না। দোকানপাট সংখ্যায় অনেক কম থাকছে।’ কিন্তু রাজ্যে যেভাবে করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে, তাতে যথেষ্টই উদ্বিগ্ন স্থানীয় বাসিন্দারা। মেলা যদি হয়, তাহলে ভিড় সামাল দেওয়া কতটা যাবে তা নিয়ে শঙ্কিত তাঁরা। এলাকার বাসিন্দাদের মতে, ‘এই মেলায় লাখ লাখ পুণ্যার্থী স্নান করতে আসেন। তাই মেলা যখন হবে পরিস্থিতি কেমন থাকবে, তা নিয়ে যথেষ্টই শঙ্কিত আমরা। মেলা না হলে মন খারাপ হয়ে যেত। এখন মেলা হওয়ার কথা বলায় আতঙ্কও লাগছে।’
তবে সুষ্ঠুভাবে যাতে মেলা পরিচালনা করা যায়, সেজন্য তৎপর হয়েছে প্রশাসন। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ জানান, ‘কোভিড বিধি মেনেই মেলা হবে। মানুষ যাতে সুষ্ঠুভাবে স্নান করতে পারেন, সেবিষয়ে নজর রাখা হবে। ইলামবাজার পঞ্চায়েত সমিতি ও জয়দেব পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা মেলার ওপর নজর রাখবেন। একইসঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের তরফেও মেলার ওপর নজর রাখা হবে।’ এর আগে গত ৮ জানুয়ারি কেন্দুলী মেলা না হওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছিল প্রশাসন।