বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > আবাস যোজনার ঘর বিক্রি করেছেন প্রাক্তন প্রধান, জেলা শাসককে নালিশ করেও লাভ হয়নি

আবাস যোজনার ঘর বিক্রি করেছেন প্রাক্তন প্রধান, জেলা শাসককে নালিশ করেও লাভ হয়নি

প্রতীকী ছবি

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ২০১৬ – ২০১৯ সাল পর্যন্ত কলাগ্রামে ৭৪ জনের আবাস যোজনার ঘর বরাদ্দ হয়েছিল। সমীক্ষার পর সেই ঘরে যোগ্য উপভোক্তার বদলে টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট লিংক করে দিয়েছিলেন হাবিবুর রহমান।

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ৭৪টি ঘর বিক্রি করে দিয়েছেন প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। জেলা শাসককে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। এই অভিযোগে এবার ভোট বয়কটের ডাক দিলেন কেশপুরের কলাগ্রামের বাসিন্দারা। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান হাবিবুর রহমান। যদিও গ্রামবাসীদের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলেরই একাংশ।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ২০১৬ – ২০১৯ সাল পর্যন্ত কলাগ্রামে ৭৪ জনের আবাস যোজনার ঘর বরাদ্দ হয়েছিল। সমীক্ষার পর সেই ঘরে যোগ্য উপভোক্তার বদলে টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট লিংক করে দিয়েছিলেন হাবিবুর রহমান। যার ফলে প্রকৃত সুবিধাভোগীরা আর ধর পাননি।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সেকথা জানিয়ে জেলা শাসকের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। তাঁদের দাবি, গোটা দুর্নীতির পিছনে রয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক শিউলি সাহা। হাবিবুর রহমানের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার গলায় পোস্টার ঝুলিয়ে ভোট বয়কটের ডাক দেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের পাশে দাঁড়ায় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ। গ্রামবাসীদের সাফ কথা, হাবিবুরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে পঞ্চায়েত ভোট বয়কট করবেন তাঁরা।

ওদিকে জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, ‘আবাস যোজনা নিয়ে অভিযোগ থাকলে বিডিওর সঙ্গে কথা বলতে হবে।’ ওদিকে বিডিও অফিস সূত্রে খবর, বিষয়টি খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।

 

বন্ধ করুন