বাড়তি সময় পড়ানোর নাম করে বাড়িতে ডেকে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর থানা এলাকার সরোই গ্রামের। এই ঘটনায় নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গৃহশিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওদিকে নাবালিকাকে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে।
পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়তি সময় পড়ানোর নাম করে ১২ বছর বয়সী ওই নাবালিকাকে ডেকে পাঠান গৃহশিক্ষক। বেশ কিছুক্ষণ পর বাড়ি ফিরে নাবালিকা কান্নায় ভেঙে পড়ে। পরিবারের লোকেদের জানায়, তাঁকে শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করেছে গৃহশিক্ষক। একথা জানাতে জানাতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। সেখান থেকে তাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।
ওদিকে নাবালিকার অভিযোগ শুনে গৃহশিক্ষকের বাড়িতে চড়াও হন তাঁর পরিজন ও প্রতিবেশীরা। এর পর কেশপুর থানায় গিয়ে গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। অভিযোগ পেয়ে গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে পকসোর ধারা দিয়ে তদন্ত শুরু করেন পুলিশ আধিকারিকরা। গ্রেফতার করা হয় গৃহশিক্ষককে। পরিবারের অভিযোগ, নাবালিকাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলেও বেশ কয়েক ঘণ্টা কোনও চিকিৎসাই করা হয়নি। এই ঘটনায় গ্রামে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রামে থাকতে দেওয়া হবে না বলে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয়রা।