এমনিতে রাজ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের অন্ত নেই। তবে কেশপুরের মতো তার বিবিধ রূপ খুব কম জায়গাতেই দেখা যায়। এবার সেখানে দলের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিলেন তৃণমূল কর্মীরাই। যা নিয়ে শনিবার রাতে কেশপুর বাজারে উত্তেজনা ছড়ায়। সমস্যার সমাধানে রবিবার বৈঠকে বসছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
কেশপুর বাজারে তৃণমূলের পার্টি অফিস কার দখলে থাকবে তা নিয়ে ব্লক সভাপতি প্রদ্যোৎ পাঁজার সঙ্গে ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি আসিফ ইকবালের দীর্ঘদিনের লড়াই। শনিবার সকালে কেশপুর বাজারের পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন প্রদ্যোৎ পাঁজার অনুগামীরা। বিকেলে আসিফ ইকবালের অনুগামীরা এসে দেখেন পার্টি অফিস বন্ধ। এর পরই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। তালার ওপর তালা ঝুলিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যান তাঁরা।
যদিও প্রদ্যোৎবাবুর দাবি, সাংসদ দীপক অধিকারীর জ্যাঠার মৃত্যুতে আমরা সবাই মহিষদা গ্রামে গিয়েছিলাম। তাই পার্টি অফিসে তালা দেওয়া ছিল। তালার ওপর তালা কারা ঝুলিয়েছে তা পার্টি অফিস খুলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখলে বোঝা যাবে।
বিবাদ মেটাতে রবিবার সেখানে বৈঠক ডেকেছেন অজিত মাইতি। বৈঠকে থাকার কথা স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী শিউলি সাহারও। তিনি জানিয়েছেন, বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। যারা পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করবে দল।
ঘটনাকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি, তাদের দাবি, মতাদর্শহীন দল তৃণমূল। তাই তারা বিবাদ ছাড়া থাকতে পারে না। কখনও বিরোধীদের সঙ্গে, কখনো নিজেদের মধ্যেই তারা লড়ছে। এভাবে একদিন কালীঘাটেও তালা ঝুলবে।