ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। তার আগে রাজনৈতিক দলগুলিও তাদের মতো করে ঘর গোছাতে শুরু করেছে। তবে তার মধ্য়ে অভিষেকের বিরুদ্ধে ডায়মন্ডহারবার আসন থেকে প্রার্থী হওয়া নিয়ে ইচ্ছা প্রকাশ করলেন ভাঙরের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
নওশাদ এবিপি আনন্দে এনিয়ে মুখ খুলেছিলেন। অন্য়দিকে ডায়মন্ডহারবারে আইএসএফ দাঁড়ালে পাশে থাকবে কংগ্রেস তা নিয়েও বড় ইঙ্গিত দিলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ডায়মন্ডহারবারে আইএসএফ যদি দাঁড়ায় তবে খোকাবাবুর বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, খোকাবাবু অর্থে অধীর চৌধুরী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেই উল্লেখ করেছেন। তার মানে নওশাদ ভাঙরে দাঁড়ালে আইএসএফের হাতকে শক্ত করে ‘খোকাবাবু’কে পরাস্ত করার রাস্তাই খুঁজবে কংগ্রেস।
এবার প্রশ্ন নওশাদ ডায়মন্ডহারবারে দাঁড়ালে ‘খোকাবাবু’র কেন বিপদ হবে?
পরিসংখ্য়ান বলছে ডায়মন্ডহারবারে সংখ্যালঘু ভোট প্রায় ৫৩ শতাংশ। এখানেই প্রশ্ন উঠছে তবে কি সংখ্য়ালঘু ভোটকে এককাট্টা করতে আইএসএফ প্রার্থীই এবার তুরুপের তাস বিরোধীদের কাছে? কংগ্রেস ইতিমধ্য়েই ইঙ্গিত দিয়েছে তারা আইএসএফকে ডায়মন্ডহারবার আসন ছেড়ে দিতে রাজি। তবে বামেদের অবস্থান জানা যায়নি। এবার বামেরাও যদি এই আসন আইএসএফকে ছেড়ে দেয় তবে বিরোধীদের তরফে প্রার্থী হতে পারেন নওশাদ। তবে এক্ষেত্রে দলের কাছ থেকে অনুমোদন দরকার বলে জানিয়েছেন নওশাদ।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, নওশাদ অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রার্থী হলে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে অভিষেককে। অন্যদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এর আগে জানিয়েছিলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডায়মন্ডহারবারে হারাব। প্রয়োজনে অন্য লোককে দাঁড় করিয়ে হারাব। বিজেপিকে জেতাব।’
তবে এক্ষেত্রে যদি বিজেপি কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার রাস্তায় হাঁটে তবে সেটাও তৃণমূলের কাছে সুখকর হবে না। তবে ভোটের এখনও কিছুটা দেরি রয়েছে। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেটাই এখন দেখার। কারণ অভিষেক এর আগেই জানিয়ে দিয়েছেন তাঁকে আরও বেশি ভোটে এবার জেতানোর জন্য। সেক্ষেত্রে ডায়মন্ডহারবারে যে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে শাসকদল সেটা বলাই বাহুল্য।