ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুকে অ্যাম্বুলেন্স না দেওয়ার অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। বিকল্প ব্যবস্থা করে হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই মৃত্যু হয় মেয়েটির। এই ঘটনায় বিক্ষোভের মুখে হুগলির তারকেশ্বরের বালিগড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান।
বালিগড়ির শিখা ভূমিজ ও পলাশ ভূমিজের মেয়ে সুইটি প্রায় জন্ম থেকেই ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। মঙ্গলবার অসুস্থ হয়ে পড়ে মেয়েটি। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। অভিযোগ, অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য বালিগড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হারাধন মজুমদারকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। চালকের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, অ্যাম্বুল্যান্স বার করতে বারণ করেছেন প্রধান। এর পর বিকল্প অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে কলকাতা নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ৩ বছরের সুইটি।
মৃত শিশুর বাবা পলাশ ভূমিজের অভিযোগ, ‘বার বার ফোন করেই হারাধনবাবুকে পাইনি। অ্যাম্বুল্যান্সের ড্রাইভার বলল গাড়ি বার করা বারণ। আমার মেয়ের তো কোনও ছোঁয়াচে রোগ হয়নি। তাহলে অ্যাম্বুল্যান্স দিল না কেন?’
এই ঘটনার জেরে পঞ্চায়েত প্রধান হারাধন মজুমদারের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, তাঁর অসহযোগিতাতেই মৃত্যু হয়েছে সুইটির। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ময়দানে নামতে হয় পুলিশকে।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হারাধনবাবু। তিনি বলেন, ‘অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য আমার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেননি। যোগাযোগ করেছে অ্যাম্বুল্যান্স ড্রাইভারের সঙ্গে। আমাকে ফোন করলে আমি ঠিক গাড়ি পাঠিয়ে দিতাম।’