কেএলও সুপ্রিমো জীবন সিংহ। কার্যত কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের(কেএলও) শেষ কথা বলেন তিনিই। গোপন ভিডিয়ো বার্তার মাধ্য়মে একের পর এক বাংলার সরকারকে নিশানা করে হুঁশিয়ারি দিতেন তিনি। সেই জীবন সিংহই এবার আত্মসমর্পণ করেছেন বলে খবর। সূত্রের খবর, নাগাল্য়ান্ডের মন জেলার মায়ানমার সীমান্ত লাগোয়া নয়াবস্তি এলাকায় তিনি আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁর সঙ্গে ৬জন অনুগামীও সারেন্ডার করেছেন বলে খবর। এদিকে জীবন সিংহের আত্মসপর্ণের খবর চাউড় হতেই উত্তরবঙ্গ জুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে যায়।
কামতাপুর পিপলস পার্টি ( ইউনাইটেড) কোচবিহার জেলা সভাপতি কংসরাজ বর্মন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, কিছু ছবি আমরাও দেখেছি। জীবন সিংহ নাকি মায়ানমার দিয়ে ভারতে ঢুকছেন। তবে তিনি আত্মসমর্পণ করেছেন কি না তা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। নিরস্ত্র হিসাবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলনে আমাদের সমর্থন আছে। তবে তাঁর সশস্ত্র আদর্শকে আমরা সাপোর্ট করি না। আমরা বঞ্চিত এটা মানছি। কিন্তু গণতান্ত্রিক পথে যদি তিনি মূল স্রোতে আসেন তবে সরকার যদি আলোচনায় বসেন তবে আমরা সমর্থন জানাব।
সূত্রে খবর, উত্তর পূর্ব জঙ্গিদমনে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় বসে জট কাটানোর জন্যও নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে অসম সরকার। তবে কি তার ফলশ্রুতিতেই এবার আত্মসমর্পণ করলেন জীবন সিংহ?
আদপে আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন জীবন সিংহ। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি কামতাপুরীদের অধিকার রক্ষার আন্দোলনে জড়িয়ে ছিলেন। পরে আন্দোলন সশস্ত্র রূপ নিলে তিনি অন্তরালে চলে যান। পৃথক রাজ্যের দাবিতে উত্তরবঙ্গে বিগত দিনে বহু রক্ত ঝড়়েছিল। অনেকেরই রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল কেএলও। এবার সেই কেএলও সুপ্রিমো জীবন সিংহ আত্মসমর্পণ করেছেন বলে সূত্রের খবর। তবে সেটা অবশ্য়ই বাংলাকে এড়িয়ে।
সূত্রের খবর, ৯০ দশকের শেষ দিক থেকে তাঁকে আর উত্তরবঙ্গ দেখা যেত না। তিনি গা ঢাকা দিয়েছিলেন। তার হাত দিয়েই তৈরি হয়েছিল কেএলও।তবে মাঝেমধ্যে ইদানিং তাঁর ভিডিয়ো বার্তা সামনে আসত। দাবি করা হত গোপন ডেরা থেকে তিনি এই ভিডিয়ো বার্তা দিচ্ছেন।
একটা সময় ভুটানের জঙ্গলে জীবন সিংহের সহযোগীরা ঘাঁটি গেড়েছিলেন বলে খবর। পরে অবশ্য তাদের অনেকেই আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তবে জীবন মায়ানমারে পালিয়ে যান বলে দাবি করা হয়। পরে তাঁর শারীরিক সমস্যা নিয়েও নানা কথা উঠে আসে। এবার প্রশ্ন উঠছে তবে কি এবার মূল স্রোতের রাজনীতিতে ফিরবেন জীবন?
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup