কুম্ভ মানেই চোখের সামনে যে ছবিটা ভেসে ওঠে সেটা প্রয়াগের। তবে জানলে অবাক হবেন এই বাংলাতে এবারও কুম্ভ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। আয়োজকদের দাবি, হারিয়ে যেতে বসা 'ইতিহাস'কে ফের মানুষের সামনে ফিরিয়ে আনার সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। আয়োজকরা হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, মন কী বাতে খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলার এই কুম্ভ মেলার কথা উল্লেখ করেছিলেন।
এবারও সেই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।
কবে বাংলায় এই বঙ্গীয় কুম্ভ স্নান ও মহোৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে?
আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে এই বঙ্গীয় কুম্ভ স্নানের আয়োজন করা হবে। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই কুম্ভ স্নান চলবে।
কোথায় হবে এই কুম্ভ স্নান?
হুগলি জেলার ত্রিবেণীর সপ্তর্ষি ঘাটে হবে এই মহাকুম্ভ স্নান।
আয়োজকদের দাবি, হাজার জনের বেশি সাধু আসবেন এবার।তার মধ্য়ে ২০০জনের বেশি নাগা সাধু আসতে পারেন। ১৫ লাখের বেশি মানুষ বাংলার এই মহাকুম্ভে এবার স্নান করবেন বলে আশা আয়োজকদের।
আয়োজকদের দাবি, প্রায় ৭০০ বছর আগে এখানে কুম্ভ স্নান হত। ফের সেই প্রাচীন ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
২০২২ সালে এই কুম্ভ স্নান ফের শুরু হয়েছিল। তারপর থেকে প্রতি বছর এই কুম্ভ স্নানের আয়োজন করা হচ্ছে। আয়োজকদের দাবি, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগ সঙ্গমকে বলা হয় উত্তর প্রয়াগ। আর বাংলার ত্রিবেণীর সঙ্গমকে দক্ষিণ প্রয়াগ বলা হয়।
ত্রিবেণী ও বাঁশবেড়িয়া বাংলার অন্য়তম প্রাচীন শহর। ত্রিবেণীকে ঘিরে নানা লোককথা ছড়িয়ে রয়েছে। সেই ত্রিবেণীতে এবারও শুরু হবে কুম্ভ স্নান। ইতিমধ্য়েই এনিয়ে ব্যপক প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। আয়োজকরা জানিয়েছেন বিভিন্ন আখড়া থেকে সাধুরা আসবেন।
প্রধানমন্ত্রীকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে। সেই সঙ্গেই বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী ও রাজ্যপালকেও এখানে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
তবে অনেকের মতে, এই কুম্ভের কোনও প্রামাণ্য ইতিহাস রয়েছে কি না তা নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। তবে আয়োজকদের দাবি, অতীতে এখানে কুম্ভ স্নান হত। সেই অতীত ইতিহাসের ধারাকে রক্ষার সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক রাজু সাউ হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন মন কী বাতে ত্রিবেণীর কুম্ভ স্নানের কথা উল্লেখ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই কুম্ভ স্নান হবে এবারও। বঙ্গীয় কুম্ভ স্নান। এবারও বিরাট আয়োজন করা হচ্ছে।