তারকেশ্বর বিষ্ণুপুর রেলপ্রকল্প। ভবাদিঘির উপর দিয়ে প্রায় ৯০০ মিটার রেলপথ তৈরির কাজ স্থানীয় কিছু সমস্যার জন্য় আটকে রয়েছে বলে খবর। তবে রেলের আশা স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় এই সমস্যাও দ্রুত মেটানোর ব্যাপারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
২০১৭ সালে এই রুটে রেলপথ নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
বিষ্ণুপুরের সঙ্গে হুগলির তারকেশ্বরের মধ্য়ে সংযোগকারী রেল।
দীর্ঘদিন ধরে বাসিন্দারা তাকিয়ে রয়েছেন এই রেল প্রকল্পের সফল রূপায়নের দিকে। তবে এবার এনিয়ে বিরাট আপডেট দিয়েছে রেল। ময়নাপুর ও বড় গোপীনাথপুরের মধ্য়ে ৭.৫২ কিমি দীর্ঘ রেললাইন সম্প্রসারনের কাজ শীঘ্রই শেষ করা হবে। এখানে প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি অল্প কিছু কাজ রয়েছে। বড় গোপীনাথপুরে স্টেশন বিল্ডিং তৈরির কাজ ও রেল লাইন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। সব মিলিয়ে এই রেলের ৩৩টি ছোট সেতুর প্রয়োজন। তার মধ্য়ে ৩১টি সেতুর কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। দিন কয়েকের মধ্যে সিগন্যালের জন্য প্রয়োজনীয় কেবল বসানোর কাজও হয়ে যাবে। ৩টি বড় সেতুর জন্য গার্ডার ও প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
গোঘাট ও ময়নাপুরের মধ্যে রেললাইন বসানোর কাজ পুরোদমে চলছে। বড় গোপীনাথপুর থেকে জয়রামবাটির মধ্য়ে যে রেল প্রকল্প সেটাও ধাপে ধাপে চালু করা হবে।
কামারপুকুর, জয়রামবাটি। ভক্তদের কাছে পূণ্যভূমি। বিষ্ণুপুর থেকে জয়রামবাটি পর্যন্ত রেললাইনের কাজ চলতি বছরের মধ্য়ে শেষ করা হতে পারে। জয়রামবাটি স্টেশনের কাজও চলছে। বড় গোপীনাথপুর ও জয়রামবাটির মধ্যে রেলওয়ে ট্র্যাক বসানোর জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। সেতু তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। এই পর্যায়ে ২৬টি সেতু তৈরি করার কথা রয়েছে। তার মধ্যে ২১টি ছোট সেতু তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। ৮টি বড় সেতুর প্রয়োজন। তার মধ্যে ৫টি সেতু তৈরির জন্য গার্ডারের কাজ শেষ করা হয়েছে।
জয়রামবাটি ও কামারপুকুরের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সমস্যা মেটানোর সবরকম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই কামারপুকুর স্টেশন বিল্ডিং তৈরির কাজ অনেক আগেই তৈরি করা হয়েছে। কামারপুকুরে স্লিপার ও লাইন ইতিমধ্য়েই তৈরি করা হয়েছে।
সেই সঙ্গেই গোঘাটের দিক থেকে রেললাইনিট স্টেশনে বাইরে প্রায় দেড় কিমি পর্যন্ত প্রসারিত করা হয়েছে। দুদিক থেকে পরিকাঠামো তৈরির কাজও চলছে। তবে ভবাদিঘি সংক্রান্ত জটিলতা সবটা মিটে গিয়েছে এমনটা নয়। তবে সকলের সহযোগিতায় সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে পুরোদমে।
শিবতীর্থ তারকেশ্বর থেকে ট্রেনে চেপে মন্দির শহর বিষ্ণুপুর- ২০২৫ সালের মধ্যেই সেই স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে। এমনটাই খবর। তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর (৮৭ কিলোমিটার) রেলপ্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের মুখে। জমিজটের কারণে যে যে অংশের কাজ আটকে ছিল, সেগুলি শেষ করার জন্য ভারতীয় রেলের তরফে বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে বিকল্প ব্যবস্থা। সেই পরিস্থিতিতে আশা করা হচ্ছে যে ২০২৫ সালের মধ্যে কাজ শেষ হতে পারে।