অস্থির বাংলাদেশ। অনেকেই সেখান থেকে এপার বাংলায় আসছেন। তবে সেই সংখ্য়াটা আগের তুলনায় কমে গিয়েছে। পেট্রাপোল সীমান্তে গেলেই বিষয়টি বোঝা যাচ্ছে। আগের মতো সেই জমজমাট ব্যাপারটা আর নেই। অনেকেরই ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাচ্ছে। তার জেরে সে দেশে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে এটা বুঝতে পেরেও ফিরে যাচ্ছেন নিজের দেশে। তবে এই পরিস্থিতির মধ্যে কিছু মানুষ আবার আসছেনও এপার বাংলায়।
বাংলাদেশের ঢাকার বাসিন্দা এক শিক্ষিকা মঙ্গলবারই পা রাখলেন ভারতে।
কেমন লাগছে ভারতে এসে?
একটু স্বস্তি লাগছে। জানেন, আমাদের দেশে জিনিসপত্রের এত আগুন দাম যে কেনা যাচ্ছে না।
নজরদারি হয় না?
মাঝেমধ্যে হয়। তখন একটু দাম কমে। আবার বেড়ে যায়। একই বাজারের নানারকম দাম। কেনা যাচ্ছে না এত দাম জিনিসপত্রের। আর বর্ডারে যদি কোনো সমস্যা হল ব্যস জিনিসপত্রের দাম হু হু করে বেড়ে যাবে।
পরিবার নিয়ে তিনি এলেন ভারতে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলায় মুখ খুললেন তাঁরা। বললেন, আপনাদের দেশে কত সস্তা। কত সুখে থাকেন আপনারা। জিনিসপত্রের দাম আমাদের থেকে অনেকটা কম।
জিনিসপত্রের কেমন দাম বাংলাদেশে?
আলু ১২০ টাকা, পেঁয়াজ ১২০-১৫০ টাকা, কপি ৫০ টাকা, গাজর ১৫০ টাকা, কুমড়ো ৮০ টাকা, ফলের মধ্যে বেদানা ৪০০টাকা, আপেল ২৫০ টাকা, লোকাল কমলালেবু ১২০ টাকা কেজি, দার্জিলিং কমলা ২০০ টাকা করে কেজি। তবে এপারে আসা একাধিক বাংলাদেশি পরিবারের দাবি, আপাতত সেখানে স্কুল কলেজ খোলা। কিন্তু অশান্তি বাড়তে পারে যে কোনও সময়। লুঠপাট, সম্পত্তি দখলের একটা ভয় সবসময়ই কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে পরিবারগুলিকে।
এমনই একাধিক পরিবার বাংলাদেশ থেকে কিছুদিনের জন্য আসছেন ভারতে। এপারে এসে বাড়িতে ফোন করে জানিয়ে দিচ্ছেন, ঠিক করে এসেছি ইন্ডিয়ায়। চিন্তা করো না।
বাস্তবিকই যারা বাংলাদেশ থেকে আসছেন আর যারা বাংলাদেশে যাচ্ছেন সকলের মনের মধ্যেই এই চিন্তাটা গ্রাস করছে। আগামী দিনে কী হবে সেখানে কিছুই বুঝতে পারছেন না।
বাংলাদেশ থেকে আসা তেমনই একটি পরিবারের দাবি, এই যে আপনারা শোনেন বাংলাদেশে এত গণ্ডগোল সেখানে সবাই যে অশান্তি পাকাচ্ছে তেমনটা নয়। অনেকে আবার পিঠ বাঁচানোর জন্য সেই বিক্ষোভের মধ্যে ঢুকে পড়ে। আসলে তারা যদি চুপ করে বসে থাকে তাহলে তো তাদের বাড়িতেও হামলা হতে পারে। সেকারণেই অনেকেই এখন পিঠ বাঁচাতে এই সব হামলার মধ্যে অংশ নিয়ে ফেলছে।