হোলিতে ফূর্তি করতে বেরিয়েছিলেন। বয়স মেরেকেটে পঁচিশ মতো হবে। কিন্তু একেবারে ভরপুর ফূর্তির সব উপকরণই রেডি। গলা পর্যন্ত বিয়ার। মদ। সাইলেন্সার বিহীন মোটর বাইক। এদিকে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান সেই যুবক। এদিকে পুলিশ ধরতেই সেই যুবক যে সব যুক্তি দিয়েছেন তা শুনে হতবাক হচ্ছেন অনেকে। সেই সংক্রান্ত ভিডিয়ো ঘুরছে মোবাইলে। নদিয়ার শান্তিপুরে বিকট শব্দ করে নেশা করে বেপরোয়া বাইক চালাচ্ছিলেন দুই বন্ধু। পুলিশ ধরে তাদের। এরপর তারা একের পর এক যুক্তি দিতে শুরু করেন। তা শুনে অবাক হবেন আপনিও। কতটা নেশা করেছেন, বাইকের সাইলেন্সার কেন খোলা, এরপর কোথায় যাবেন একেবারে খোলামেলা জবাব দিয়েছেন দুই বন্ধু।
কী বলেছেন ওই যুবক?
ওঁরা বলছেন আমরা নাকি কাউকে ফেলে দিয়েছি। কাউকে ফেলিনি তো। হাল্কা ড্রিঙ্কই অবশ্য়ই করেছি। হোলি আজকে একটা দুটো বিয়ার তো অবশ্য়ই খেতেই পারি। চারটে পাঁচটা বিয়ার তো খাবই। তারপর তো আমরা বাড়িতে যাচ্ছি। ওখানে বসন্ত উৎসব হচ্ছে। ওখানে গিয়ে এনজয় করব। এটুকুই তো মোটিভ…
এবার প্রশ্ন সাইলেন্সার বিহীন বাইক চালাচ্ছিলেন কেন?
এখানেও একেবারে স্মার্ট যুক্তি ওই যুবকের। তিনি বলেন, বাইক সার্ভিসিংয়ে দিয়েছিলাম।ওরা সাইলেন্সারের পাইপ খুলে রেখেছেন। আজকে বাইক দিতে চাইছিলেন না। কী করব, পায়ে হেঁটে তো যাব না স্যার। ২৩ কিমি পায়ে হাঁটা সম্ভব নয়। বাইক তো নিতেই হবে।
এবার প্রশ্ন সাইলেন্সারের পাইপ না থাকায় তো বিকট শব্দ হচ্ছে?
সেখানেও আবার অন্য যুক্তি।
পাশের যুবক বলেন, লিমিট হচ্ছে। ওটা তো ইঞ্জিনের শব্দ।
এবার প্রশ্ন ,নেশা করে গাড়ি চালাচ্ছেন?
তখন এল জবাব, লিমিটে আছি।
এবার প্রশ্ন, সাইলেন্সারের পাইপ নেই, বিকট শব্দ হচ্ছে।
তখন আর এক যুবক বলেন, পুলিশ খুলে নিয়েছে। অরিজিনালটা খুলে নিয়েছে। পায়ে হেঁটে যাওয়া তো সম্ভব নয় স্যার। পাশ থেকে তখনও বলে যাচ্ছেন অপর যুবক।