ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে তাঁর ঘর থেকে। এদিকে তাঁর এই অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁকে চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাঁর দেহের কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোটও পেয়েছেন পরিবারের লোকজন। কী লেখা রয়েছে সেই সুইসাইড নোটে?
সেই নোটে লেখা হয়েছে, ‘যেদিন তপনের হত্যা হয় সেদিন থেকে আমি মানসিক অবসাদে ভুগছি। যে দৃশ্যটি দেখেছি সেটা মাথা থেকে কোনওরকমে বের হচ্ছে না। ফলে রাতে ঘুম হচ্ছে না। খেতে মন যাচ্ছে না। শুধু ওই ঘটনাটা মনের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। তারপর পুলিশের বার বার ডাক। আমি জীবনে থানার চৌকাঠ পার করিনি। এইসব আর সহ্য করতে না পারার জন্য এই পথ বেছে নিলাম। এতে কারো কোনওরূপ প্ররোচনা, চাপ বা হাত নেই। আমি স্বেচ্ছায় আত্মত্যাগ করলাম। ইতি নিরঞ্জন বৈষ্ণব (সেফাল)।’ লেখা রয়েছে সেই সুইসাইড নোটে।
এদিকে গোটা ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন পরিজনরা। তাঁদের দাবি, পুলিশ নানাভাবে চাপ দিচ্ছিল নিরঞ্জনকে। তার জেরেই তিনি এই চরম পথ বেছে নিয়েছেন। এদিকে তাঁর এই অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়েও সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন।