কচুরিপানা শুকিয়ে শিল্প? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরামর্শ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের বন্যা বয়ে গিয়েছিল। তারইমধ্যে আরও একটি পোস্ট ভাইরাল হয়ে গেল। তাতে একাধিক ছবি পোস্ট করে দাবি করা হল, কচুরিপানা শুকিয়েও হস্তশিল্প করা সম্ভব।
সম্প্রতি ফেসবুকে আদিত্য নারায়ণ ভৌমিক নামে তৃণমূলের এক নেতা পোস্ট করেন, ‘কচুরিপানা শুকিয়ে হস্তশিল্প সম্ভব, বলেছিলেন আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা আমার ব্যক্তিগত ধারণায় বাংলার মা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই উক্তির প্রমাণ স্বরূপ এই ছবি পোস্ট করলাম। এক দাদার পোস্ট থেকে ছবিগুলি সংগৃহীত। ঠিক যেরকম এক মা কোনও কাজকেই ছোটো মনে না করেন, তাঁর সন্তানকে শিক্ষা দেন, নতুন-নতুন ব্যবসার পথ দেখান আমাদের মুখ্যমন্ত্রী এবং সেই কাজই করে চলেন বারবার।’
ওই তৃণমূল নেতার পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যে পোস্টে বিরোধীদেরও আক্রমণ শানিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, 'এই মমতাময়ী রূপটা এর অপব্যবহার সবসময়ই করে চলেছেন বিরোধীপক্ষ আর সন্ত্রাসপক্ষ। মায়ের আবেগ প্রকাশে কোনও সীমা থাকে না, কখনওই ঠিক তেমনই হলেন আমাদের মমতাময়ী বাংলার মা।'
কচুরিপানা শিল্প নিয়ে মমতা
গত বৃহস্পতিবার 'উৎকর্ষ বাংলা'-র অনুষ্ঠানে মমতা দাবি করেন, কচুরিপানা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ব্যাগ এবং থালা তৈরি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, 'গ্রামে-গ্রামে অনেক কিছু হতে পারে। গ্রামে আমার মামারবাড়ি। যখন মামারবাড়িতে যেতাম, তখন দেখতাম যে পাকে থাকা কচুরিপানা দিয়ে মাদুর তৈরি করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, কচুরিপানা শুকিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ব্যাগ। তৈরি করা হচ্ছে খাবারের থালা। আগে তো শালাপাতার থালায় খাবার দেওয়া হত। ভাবা যায়? কচুরিপানা দিয়ে যে কাজ হতে পারে, ভাবাই যেত না।'
আরও পড়ুন: Employment: ঘুগনি, তেলেভাজা, চা, বিস্কুট বিক্রির পরামর্শ মমতার, কাশফুল দিয়ে লেপ…
মমতার সেই মন্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল শুরু হয়। সঙ্গে যোগ হয় মুখ্যমন্ত্রীর ঘুগনি মন্তব্যও। বিরোধী নেতারাও আক্রমণ শানাতে থাকেন। তাঁরা কটাক্ষ করেন, রাজ্যে যখন শিল্পের হাল বেহাল, তখন কচুরিপানা, ঘুগনি শিল্পের কথা তো বলবেনই। শনিবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘(পশ্চিমবঙ্গে) শিল্প নেই, চাকরি নেই। তাই বিশ্বকর্মা পুজো কে করবেন? বিশ্বকর্মা বাংলা থেকে পালিয়ে গিয়েছেন, বিশ্বকর্মা দেবের পুজো কাজের মাধ্যমে হোক। সাধারণ মানুষ যখন আনন্দে পুজো দেবেন, তখন বিশ্বকর্মা আসবেন।’