কেউ গ্রহণ করল না স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। দুর্ঘটনায় জখম হয়ে শয্যাশায়ী কোলাঘাটের এক যুবক। পরিবারের দাবি, একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড দেখালেও চিকিৎসা পরিষেবা দিতে রাজি হয়নি কেউ। ওদিকে ছেলের চিকিৎসায় ৩ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে দিন আনি দিন খাই পরিবারটির।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে আহত যুবকের নাম হরিপদ সামন্ত। স্বর্ণশিল্পী হরিপদবাবু দিল্লিতে কর্মরত ছিলেন। গত জুনে কোলাঘাটের গোপালনগর গ্রামে পৈত্রিক বাড়িতে ফেরেন তিনি। নিয়ম মাফিক তাঁর করোনা পরীক্ষা করায় প্রশাসন। তাতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। যদিও পরিবারের দাবি করোনার কোনও লক্ষণ ছিল না তাঁর। গত ১৪ জুন হরিপদবাবুকে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে মেছোগ্রামে সরকারি করোনা হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেয় অ্যাম্বুল্যান্স। কিন্তু পথে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয় অ্যাম্বুল্যান্সটি। পিছন থেকে সেটিতে ধাক্কা মারে একটি ট্রাক। এতে অ্যাম্বুল্যান্স চালক ও অ্যাম্বুল্যান্সে থাকা আরেক রোগীর মৃত্যু হলেও বেঁচে যান হরিপদ। কলকাতার SSKM হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। যুবকের মেরুদণ্ডে অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু তার পর থেকে আর উঠে দাঁড়াতে পারেননি যুবক।
পরিবারের দাবি, উন্নত চিকিৎসার জন্য কলকাতার একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে হরিপদবাবুর মায়ের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখানো হয়। কিন্তু সবাই জানিয়ে দেয় এই কার্ডে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। ওদিকে এতদিনে ৩ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে পরিবারটির। এমনকী বন্ধক দিতে হয়েছে বাড়িটিও।
হরিপদর এই ভোগান্তিতে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড যে মানুষের চোখে ধুলো দিতে রাজ্য সরকার দিয়েছে তা আগেই বলেছিল বিজেপি। এবার মানুষ তা হাতেনাতে বুঝতে পারছে। মানুষের সংকটের সময় তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে এই সরকার।