পুরসভার স্থির করা দামেই জমি বিক্রি করতে হবে। না হলে মেরে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হবে, কোন্নগর পুরসভার তৃণমূলি চেয়ারম্যান স্বপন দাস ও সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সনাতন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করলেন এক চিকিৎসক। অভিযোগ জন্মাষ্টমীর দিন কোন্নগর পুরসভায় ডেকে তাঁকে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে। উত্তরপাড়া থানায় সনাতন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ওই চিকিৎসক।
কুণালবাবু জানান, কোন্নগরে গঙ্গার পাড়ে তাঁর ১৮ কাঠা জমি রয়েছে। তাঁর পাশে তৈরি হচ্ছে পুরসভার শব দাহ করার বৈদ্যুতিক চুল্লি। সেজন্য তাঁর কাছে ৩ কাঠা জমি ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাওয়া হয়েছিল। ১৯ অগাস্ট জন্মাষ্টমীর দিন তাঁকে পুরসভায় ডেকে পাঠানো হয়। তিনি গিয়ে দেখেন পুরসভা বন্ধ। তাঁকে নিয়ে গিয়ে বসানো হয় পুরসভার কনফারেন্স হলে। সেখানে তাঁকে সনাতনবাবু বলেন, কুড়ি লাখ টাকার চেক রাখুন, পুরো জমিটা একজনের নামে লিখে দিন।চিকিৎসকের অভিযোগ বেশ কিছুদিন ধরেই তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল যে জমি পুরসভা দখল করে নেবে বলে। প্রায় ১৮ কাঠা জমি মাত্র কুড়ি লাখ টাকায় দিতে রাজি হননি চিকিৎসক বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন তাকে মেরে গঙ্গায় ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার তাকে বলেন, ‘তৃনমূলের সরকার চলছে,এটা তৃনমূলের গুন্ডামি ধরে নিন’।
বাড়ির পরিত্যক্ত ঘর থেকে উদ্ধার নিঃসন্তান প্রৌঢ় দম্পতির ঝুলন্ত দেহ
পরদিন কুনাল বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরপাড়া থাানায় সনাতনবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। চিকিৎসক বলেন, স্বপন দাস একজন জমি মাফিয়া, গাজোয়ারি করে তার জমি দখল করতে চাইছেন।
সনাতনের দাবি, কোন্নগর পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন দাসের নির্দেশে তিনি ডেকে কথা বলেছিলেন।তিন কাঠা জমির প্রয়োজন ছিল তাদের। যেখানে বৈদ্যুতিক চুল্লি তৈরি করা হবে। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। পুরসভা জমি নেবে তার জন্য আমি গুন্ডামি করতে যাব কেন। এর পিছনে অসাধু কোনো চক্র আছে। এখন যে কোনও প্ল্যান জমা নেওয়া হয় অনলাইনে। অনলাইনেই স্যাংশন হয়।চাপ দিয়ে অফ লাইনে করানোর জন্য এই ধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে।
বকেয়া প্রায় ৪ লক্ষ বুকিং! গাড়ি ডেলিভারি দিতে হিমশিম খাচ্ছে মারুতি সুজুকি
চেয়ারম্যান স্বপন দাস বলেন, ‘উনি অনেক দিন ধরেই পুরসভায় ঘুরছেন ওই জমিতে ফ্ল্যাট করবেন বলে। কিন্তু পোর্ট ট্রাস্টের নিয়ম অনুযায়ী গঙ্গা থেকে যতটা জমি ছেড়ে নির্মাণ করা যায় সেটা ওই জমিতে হবে না। ওনার জমিতে সেই সুযোগ নেই। কোন্নগরে একটি বৈদ্যুতিক চুল্লির প্রয়োজন। এবিষয়ে পুরমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।কোন্নগর, নবগ্রাম, কানাইপুর, ডানকুনি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের প্রয়োজন এই বৈদ্যুতিক চুল্লি।আমরা তিন কাঠা জমি কুড়ি লাখ টাকা দিয়ে কিনতে চেয়েছিলাম।পুরসভাই টাকা দেবে। সেটা তিনি রাজি হননি'।
স্বপনবাবুর দাবি, 'উনি এখন মিথ্যা অভিযোগ করছেন, বলছেন জমি মাফিয়া। মানুষের প্রয়োজনে জমি চাওয়া হয়েছিল আমার ব্যক্তিগত কোনো প্রয়োজনে নয়। ওনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব। উনি পুরসভা এবং তৃণমূল দলকে বদনাম করার চেষ্টা করছেন’।