অতুল রায়। কামতাপুর প্রগ্রেসিভ পার্টির সভাপতি। তাঁর হাত ধরেই একটা সময় উত্তরবঙ্গে দানা বেঁধেছিল কামতাপুরী আন্দোলন। পরবর্তী সময় নানা নীতির ভিত্তিতে একাধিক ধারায় বিভক্ত হয়ে যায় কামতাপুরীদের সংগঠন। কামতাপুর পিপলস পার্টির ছত্রছায়ায় থেকে যান অনেকেই। বাকিরা ছড়িয়ে যান অন্যান্য একাধিক সমমনোভাবাপন্ন সংগঠনে। এবার কামতাপুর প্রগ্রেসিভ পার্টির সুপ্রিমো অতুল রায় গুরুতর অসুস্থ। শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন তিনি। সংগঠনের অন্য়ান্য নেতৃত্বের দাবি, অতুল রায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁর শ্বাসকষ্ট, সুগার, প্রেসার সহ নানা ধরণের সমস্যা রয়েছে।
গত ২২শে মে থেকে তিনি অত্যন্ত সংকটজনক অবস্থায় রয়েছেন। কিন্তু তাঁর অনুগামীদের দাবি, তিনি কামতাপুরী ভাষা অ্য়াকাডেমির ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। কিন্তু সরকারি পদে থাকা সত্ত্বেও তাঁর চিকিৎসার ব্যাপারে সরকারি তরফে কোনও সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। রাজনৈতিক মহলে, একাধিক নির্বাচনে রাজবংশী ভোট ব্যাঙ্ককে এককাট্টা করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাঁর সহযোগিতা নিয়েছে। গত বিধানস তৃণমূলকে সহযোগিতা করেছিল কেপিপি। কিন্তু কেপিপি নেতা অতুল রায় যখন অসুস্থ তখন তৃণমূলের একাধিক নেতৃত্বকে ডেকেও পাশে পাওয়া যাচ্ছে না, এমনটাই অভিযোগ তাঁর অনুগামীদের। তাঁর চিকিৎসার ব্যাপারে এবার সরকারি সহায়তা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে কেপিপি।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বুধারু রায় মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, 'কামতাপুর প্রগ্রেসিভ পার্টির সুপ্রিমো অতুল রায় গত ১৫ই মে থেকে অসুস্থ। ২২শে মে থেকে তিনি শিলিগুড়ির একাধিক নার্সিংহোমে পর পর ভর্তি হয়েছেন। তিনি কামতাপুরী ভাষা অ্য়াকাডেমির ভাইস চেয়ারম্যান। বিভিন্ন দিক থেকে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু সহযোগিতা বা সদুত্তর পাইনি। মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে হস্তক্ষেপ চেয়ে এবার চিঠি পাঠিয়েছি। সরকারি ব্যবস্থা করার আবেদন জানিয়েছি। প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব, তৃণমূলের একাধিক নেতাকেও ফোন করেছি। কিন্তু তাঁরা খালি বলছেন দেখছি, দেখব। এভাবে চললে তাঁর শারীরিক অবস্থা আরও সংকটজনক হয়ে যাবে।'