৪ বছর বিচার চলার পর নাবালিকা ধর্ষণের অপরাধে ১০ বছরের জেল হল হাসিবুলের

২০১৮ সালে নাকাশিপাড়ার বাসিন্দা ওই কিশোরী পেটের টানে হাসিবুলের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতে যায়। ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে বারবার ধর্ষণ করে হাসিবুল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিশোরীর মুখ বন্ধ করে রেখেছিল সে।

 ছবি প্রতীকি

রাজ্যে একের পর এক নাবালিকা ধর্ষণের খবরের মধ্যে POCSO-র একটি মামলায় সাজা শোনাল রাজ্যের একটি আদালত। নদিয়ার নাকাশিপাড়ায় একটি কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় বুধবার ৪ বছর পর ধর্ষককে সাজা শোনাল কৃষ্ণনগর আদালত। হাসিবুল মণ্ডল নামে ওই নাবালিকা ধর্ষককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছেন বিচারক। সঙ্গে হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা।

২০১৮ সালে নাকাশিপাড়ার বাসিন্দা ওই কিশোরী পেটের টানে হাসিবুলের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতে যায়। ১৬ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে বারবার ধর্ষণ করে হাসিবুল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কিশোরীর মুখ বন্ধ করে রেখেছিল সে। কিন্তু কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এর পর হাসিবুলের বিরুদ্ধে পকসো আইনের ধারায় মামলা শুরু করে পুলিশ। ওদিকে একটি সুস্থ ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় কিশোরী।

৪ বছর ধরে বিচারপর্ব চলার পর বুধবার হাসিবুলকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শোনান বিচারক। সঙ্গে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাকে। অনাদায়ে আরও ১ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এদিনের রায়ে খুশি নির্যাতিতার পরিবার।

রাজ্যের একাধিক নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় আদালতের পর্যবেক্ষণে তদন্ত চলছে। হাঁসখালির ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু বিচার প্রক্রিয়া ৪ বছরের আগে শেষ করা মুশকিল বলে জানাচ্ছেন আইনজ্ঞরা। নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে বিচারবিভাগকে তৎপর হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন শিশু অধিকার আন্দোলনের কর্মীরা। তাদের দাবি, অভিযুক্তের দ্রুত সাজার ব্যবস্থা করতে না পারলে এই ধরণের অপরাধ বন্ধ করা অসম্ভব।