এখন মহুয়া মৈত্রকে জেলা সংগঠনের পদ থেকে সরাতে চান নেতারা। আর তাই এবার তৃণমূল সুপ্রিমোকে চিঠি লিখলেন কয়েকজন বিধায়ক বলে সূত্রের খবর। আর হাতে ১৫ মাস বাকি। তারপরই ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন শুরু হবে বাংলায়। সেখানে ২০২৪ সালের শেষেই নদিয়ার তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠনে গৃহযুদ্ধ নতুন মাত্রা যোগ করল। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন দলের বিধায়করা। মহুয়া মৈত্রকে এখন কৃষ্ণনগর জেলা সাংগঠনিক সভাপতির পদ থেকে সরানোর দাবি তুলে তাঁরা চিঠি লিখেছেন। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই মর্মে চিঠি দিয়েছেন বিধায়করা।
এখন দলের জেলা সংগঠনে রদবদল করার পরিকল্পনা আছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বর। সেটা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি একটা তালিকা তৈরি করেছিলেন। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি তা পৌঁছে দেন নেত্রীর কাছে। যদিও সেটা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই আবহে জেলার বিধায়করা দলের সাংসদকে সরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তাই এই চিঠি পাঠানো বলে সূত্রের খবর। নয়াদিল্লিতে এখন শীতকালীন অধিবেশন চলছে। যেখানে ব্যস্ত সাংসদ মহুয়া মৈত্র। আর তাঁর আড়ালেই খেলে দিলেন বিধায়করা।
আরও পড়ুন: বাড়িতে কার্টুন দেখছিল ৬ বছরের শিশু, মা ফিরে দেখলেন হাত–পা ঠাণ্ডা, চন্দননগরে রহস্যমৃত্যু
নয়াদিল্লিতে বেশি সময় কাটান মহুয়া মৈত্র। তাই দলের কাজে তাঁকে পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ আছে। আর কৃষ্ণনগরের সাংসদকে সরানো নিয়ে বিধায়কদের বক্তব্য, প্রত্যেক বিধানসভায় বিধায়কের সমান্তরাল সংগঠন গড়ে তুলছেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সাংসদকে স্থানীয় সংগঠনের কাজে পাওয়া যায় না। দিল্লির কাজে বেশি ব্যস্ত থাকেন। নিজের সংসদীয় এলাকায় কম সময় দেন। মহুয়ার পরিবর্তে অন্য কাউকে সভাপতি করা হোক। চিঠিতে এই কথাগুলি উল্লেখ করেছেন ৬জন বিধায়ক। তাতেই মহুয়া মৈত্রকে সরানোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
ওই চিঠির একটি প্রতিলিপি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির কাছেও। কারা এই চিঠি পাঠিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমোকে? সূত্রের খবর, বিধায়ক উজ্জ্বল বিশ্বাস, রুকবানুর রহমান, বিমলেন্দু সিনহা, কল্লোল খান–সহ ৬ জন বিধায়কের স্বাক্ষর রয়েছে ওই চিঠিতে। এঁদের সঙ্গে মহুয়া মৈত্রের দ্বন্দ্ব অনেকদিনের। বিধায়কদের এই চিঠির খবর পেয়েছেন মহুয়া মৈত্র। তবে তিনি এখনই তাতে আমল দিতে নারাজ। কারণ তাঁর সঙ্গে এখন বাকি সাংসদরাও আছেন। এমনকী খোদ দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আছেন। তবে মহুয়ার আগে অভিযোগ ছিল, নির্বাচনের সময় বিধায়দের সহযোগিতা মেলে না।