হিংসা থামলেও এখনো থমথমে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মইপীঠের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। শুক্রবার রাতের হিংসায় সেখানে ২ জনের মৃত্যুর পর এখনো রয়েছে চাপা উত্তেজনা। উত্তেজনা প্রশমণে টহল দিচ্ছে পুলিশ। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে সোমবার কুলতলি ব্লকের সমস্ত সরকারি আধিকারিককে বৈঠকে ডেকেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন। দলের নেতার হত্যার প্রতিবাদে সোমবার কুলতলি বনধের ডাক দিয়েছে SUCI কমিউনিস্ট।
ঘূর্ণিঝড় আমফানের ত্রাণ নিয়ে কুলতলির জনতার রোষ শুক্রবার রাতে গিয়ে পড়ে ২ তৃণমূল নেতার ওপর। শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন ২ তৃণমূল নেতা অশ্বিনী মান্না ও নবকুমার গিরি। অভিযোগ, তাঁদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় SUCI আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ২ জনকেই ধারাল অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক কোপানো হয়। স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে জামতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে অশ্বিনীবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। নবকুমারবাবুকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তাঁর অবস্থাও ভাল নয়।
ওই রাতেই SUCI সমর্থকদের বাড়িতে পালটা হামলা চালায় তৃণমূল। SUCI-নেতা সুধাংশু মান্নাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে দেয় তৃণমূলি দুষ্কৃতীরা। তাঁর বাড়িতে লুঠপাট চালানো হয়। বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা।
দলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুধাংশুবাবুর মৃত্যুতে রবিবার জেলা জুড়ে বিক্ষোভ দেখায় SUCI. অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে সোমবার কুলতলি বনধ ডেকেছে তারা।
ওদিকে সোমবার BDO, BMOH-সহ কুলতলি ব্লকের সমস্ত সরকারি আধিকারিককে বৈঠকে ডেকেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন। ওই বৈঠকে কোনও জনপ্রতিনিধিকে ডাকা হয়নি। সূত্রের খবর, ত্রাণ নিয়ে কেন এত অভিযোগ, জানতে চাইতে পারেন জেলাশাসক।