চোর সন্দেহে দুই যুবককে বেধড়ক মারধর করল কেন্দ্রীয় বাহিনী বলে অভিযোগ। তার জেরেই মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের বলে উঠেছে অভিযোগ। অপরজনের অবস্থা গুরুতর। এই অভিযোগ উঠছে সিআইএসএফের বিরুদ্ধে। আসানসোলের কুলটিতে এই ঘটনা ঘটায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কুলটি সেল গ্রোথ ওয়ার্কস কারখানার ঘটনায় এখন আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারখানায় চুরি করতে ঢুকে সিআইএসএফের হাতে ধরা পড়ে দুই যুবক। তাদেরকে বেধড়ক মারধর করে জওয়ানরা। তাতেই মৃত্যু হয়েছে একজনের বলে অভিযোগ। পুলিশ গিয়ে দু’জনকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে পাঠায়। মৃত যুবকের নাম ভিকি রুইদাস। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মহম্মদ লডন।
এদিকে সিআইএসএফের পক্ষ থেকে অভিযোগ, ওই দুই যুবক–সহ কয়েকজন চুরি করতে কুলটির সেল গ্রোথ কারখানায় ঢুকেছিল। চুরি করতে ঢুকে তারা ধরা পড়ে। বাকিরা চম্পট যায়। তারপরই তাদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। রাতে তাদের মারধর করে কারখানার বাইরে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আজ, সোমবার সকালে কারখানার বাইরে পাঁচিলের পাশে দুই যুবককে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। একজনের অবস্থা আসঙ্কাজনক। অন্যজন মৃত। পুলিশ এসে দু’জনকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ভিকি রুইদাসকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মহম্মদ লডন।
আরও পড়ুন: কুণালকে সরাসরি চড় মারার হুঁশিয়ারি দিলেন প্রাক্তন অভিনেত্রী, জবাব দিলেন তৃণমূল নেতা
অন্যদিকে এই ঘটনা সামনে আসতই বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে কুলটি থানার পুলিশ পৌঁছেছে। দুই যুবক চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল কিনা সেটার কোনও প্রমাণ মেলেনি। তাই সিআইএসএফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই দুই যুবক ছোটখাট কাজ করে সংসারে টাকা দিতে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। সেখানে নিরাপত্তা বেষ্টিত কারখানায় তারা চুরি করতে যাবে কেন? উঠছে প্রশ্ন। রাতভর মারধর করার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় দু’জনকেই ফেলে দেওয়া হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে কুলটি সেল গ্রোথ কারখানার গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
এছাড়া মৃত ভিকি রুইদাসের পরিবারের দাবি, ভিকি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছে। আর একজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় জেলা হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনার প্রতিবাদে সেল গ্রোথ কারখানার গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মানুষজন। পরিবারের দাবি, ওই দু’জন চোর নয়। তারপরও যখন ধরাই পড়েছিল তখন তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হল না করে কেন? এভাবে সারারাত মারধর করা হল কেন? আগেও নানা কারণ দেখিয়ে স্থানীয়দের উপর অত্যাচার করেছে সিআইএসএফ বলে অভিযোগ। তাই আজ যে ঘটনা ঘটেছে তাতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মানুষ।