রাত পোহালেই সাধারণতন্ত্র দিবস। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে শহর থেকে গ্রাম বাংলা। শুধু শহরেই থাকছে ২৩০০ পুলিশ ফোর্স। প্রত্যেক জেলায় পুরোদমে ফোর্স নামানো হচ্ছে। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। যেহেতু বাংলাদেশে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে এবং ওপার বাংলার নাগরিক থেকে জঙ্গিরা এপার বাংলায় ঢুকে পড়ছে তাই এবার এমন বাড়তি সুরক্ষা নেওয়া হয়েছে। এই আবহে এবার কুলটির নিষিদ্ধপল্লি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র–সহ গ্রেফতার করা হয়েছে ৭জনকে। তাতে আরও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
গতকাল রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ক্রেতা সেজে হাজির হয় পুলিশ কর্মীরা। তারপর শুরু হয় তল্লাশি। সেই তল্লাশি অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় ওই ৭ জন যুবককে। কিন্তু তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র কেন? কোথা থেকে এল? কী উদ্দেশে সেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নিষিদ্ধপল্লিতে গিয়েছিল? এই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজছে পুলিশ। ধৃত যুবকদের কাছ থেকে একটি রাইফেল, একটি ৭ এমএম পিস্তল এবং ৫ রাউন্ড কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এমনকী দুটি দামি গাড়িও আটক করেছে পুলিশ। এভাবে সমরসজ্জায় এখানে যুবকদের আগমন পুলিশ কর্তাদের ভাবিয়ে তুলেছে।
আরও পড়ুন: ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার গড়ে তুলছে রাজ্য সরকার, প্রশিক্ষণ শেষে মিলবে সরাসরি লাইসেন্স
শুক্রবার মাঝরাতে কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে। সেই খবর ক্রস চেক করার পর পুলিশ গ্রেফতারের পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলে। খবর দেওয়া হয়েছিল, কয়েকজন যুবক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নিষিদ্ধপল্লিতে এসেছে। এরপর অভিযান চালান পুলিশ অফিসাররা। নিষিদ্ধপল্লির লছিপুরের দিশা সংলগ্ন এলাকা থেকে ওই সশস্ত্র যুবকদের গ্রেফতার করে পুলিশ। আগ্নেয়াস্ত্র–সহ দুটি বিলাসবহুল গাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া যুবকদের প্রত্যেকেই ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ধানবাদ এবং রাঁচির বাসিন্দা। আজ, শনিবার ওই যুবকদের আসানসোল আদালতে পেশ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় এখনও ধৃতরা তেমন বড় কোন তথ্য দেয়নি। কোনও অপরাধ সংগঠিত করতে এসেছিল কিনা তা স্বীকার করেনি। তবে নিষিদ্ধপল্লিতে ফুর্তি করতে এসেছিল বলে জেরায় জানিয়েছে তারা। ওই ধৃতরা আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে পেল বলতে চাইছে না। তাই খোঁজ করা শুরু হয়েছে। যদিও অস্ত্র নিয়ে কেন নিষিদ্ধপল্লিতে এসেছিল তারা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আগ্নেয়াস্ত্রগুলি বেআইনি কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে একটা বিষয় সামনে এসেছে, ধৃত যুবকরা ঝাড়খণ্ডের অভিজাত পরিবারের সদস্য। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।