তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কাঁথিতে সভা করতে এলে তাঁকে বাড়িতে চায়ের নিমন্ত্রণ করবেন বলে জানিয়েছেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। এবার তারই যেন পাল্টা দিলেন তৃমমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এখন বাংলার নির্বাচনে একটি বড় ভূমিকা পালন করেন মহিলা ভোটাররা। রাজ্যের প্রায় ৪৯ শতাংশ ভোটার মহিলা। সংখ্যায় প্রায় সাড়ে তিন কোটি। এই মহিলা ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বঙ্গজননী বাহিনীকে বিশেষ দায়িত্ব দিলেন কুণাল ঘোষ। বাড়ি বাড়ি গিয়ে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরতে বললেন। এমনকী বিরোধীদের বাড়িতেও যাওয়ার বার্তা দিলেন কুণাল ঘোষ। সেটা শান্তিকুঞ্জে দিব্যেন্দু অধিকারীর স্ত্রীর কাছ থেকেই শুরু করার আবেদন জানালেন তিনি।
ঠিক কী বলেছেন কুণাল ঘোষ? এই কাজ করার ক্ষেত্রে শান্তিকুঞ্জের মহিলাদের কাছে আগাম সময় চাওয়া হবে। তবে চারজনের বেশি তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সেখানে যাবেন না। মহিলাদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কী কাজ করেছে সেটা শান্তিকুঞ্জের মহিলাদের জানাবেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। এই বিষয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘যাঁরা আমাদের ভোট দেননি বলে পরিচিত, তাঁদের থেকে দূরে যাবেন না। তাঁদের বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে কথা বলুন। মহিলারা বেশি করে দায়িত্ব নিন। কারণ, বাড়ির ভিতর ঢুকে ওদের ভোটটা বের করে আনতে হবে। দিব্যেন্দু অধিকারীর বউকে দিয়ে শুরু করুন। দিব্যেন্দুর স্ত্রীও অত্যন্ত যুক্তিসম্মত কথাবার্তা শোনেন। তিনিও তো একজন সাংসদের স্ত্রী। শিশিরবাবুর স্ত্রীও একজন সাংসদের স্ত্রী। আমাদের মহিলারা তাঁদের সঙ্গে দেখা করে প্রকল্পগুলি বোঝাবেন। এটা একটি প্রতীকী, একেবারে সাংসদ থেকে শুরু করে পাড়ার মহিলারা, সকলের কাছে গিয়ে তাঁরা বোঝাবেন।’
আর কী জানা যাচ্ছে? কাঁথিতে ৩ ডিসেম্বর সভা করতে যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভা নিয়ে এখন থেকেই পারদ তুঙ্গে। এই সভার প্রস্তুতি বৈঠক থেকেই একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তাছাড়া পূর্ব মেদিনীপুরে দলের পুরনো নেতা–কর্মীদের বাড়িতে যাওয়ার জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বঙ্গজননী বাহিনীকে লিফলেট নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই লিফলেটে কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভান্ডার, দলে মহিলাদের ক্ষমতায়নের কথা উল্লেখ করা থাকবে।
কেন এমন বললেন কুণাল ঘোষ? আজ, রবিবার একটি চা–চক্রের অনুষ্ঠানে যোগ দেন কুণাল ঘোষ। সেখানে তিনি তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘তাঁরা আমাদের দলের প্রতীকে নির্বাচিত। ফলে আমাদের দলের মহিলা কর্মীরা বা বঙ্গজননী যদি তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন, তাহলে অন্যায় কোথায়? তাঁরাও তো কাঁথির মহিলা এবং সম্মানীয়। তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকল্পের সুবিধাগুলি পাচ্ছেন কি না জানতে চাওয়া হবে। এতে কী অন্যায় আছে?’