আত্মহত্যার চেষ্টা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ। সারদা মামলায় ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর জেলবন্দি থাকা অবস্থায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তারপরেই তৃণমূলের অনেক নেতাই কুণাল ঘোষকে ‘পাগল’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। অনেক রাজনৈতিক নেতা কুণালের আত্মহত্যার চেষ্টাকে ‘নাটক’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন। আদালতের রায়ের পর নাম না করেই সেই সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্যে কড়া জবাব দিলেন কুণাল ঘোষ। আদালত চত্বরে তিনি দাবি করলেন, ‘আমি কোনও নাটক করিনি। রাজ্য সরকারের পুলিশই তা প্রমাণ করল।’
তিনি বলেন, ‘ আদালতের রায়ই প্রমাণ করে দিল যে আমি কোনও রকমের নাটক করিনি। আমি নাম নিয়ে কোনও আলোচনা করতে চাইনা। আমি একটি রাজনৈতিক বিশ্বাস নিয়ে চলি। তবে রাজ্য সরকারের পুলিশ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছে যে আমি আত্মহত্যা চেষ্টা করেছিলাম। আমাকে আত্মহত্যার চেষ্টার জন্য ৩০৯ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আদালত সেটা প্রমাণ করে দিল।’
অন্যদিকে, সারদা কাণ্ডে কুণাল ঘোষকে গ্রেফতার করার পরেই তিনি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছিলেন। আদালতের রায়ের পরে কুণালকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এখনও বলছি এটা বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন সর্বশেষ যে চিঠি দিয়েছেন তাতে যাদের নাম রয়েছে তাদের প্রত্যেকে গ্রেফতার করে তদন্ত চালাক সিবিআই। আমি একটি রাজনৈতিক দলকে ভালবাসি। তবে নিজস্ব কিছু বিষয় নিয়ে ইস্যু থাকে। সেটা আলাদা বিষয়।’
উল্লেখ্য, সারদা মামলায় জেলবন্দি থাকাকালীন ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা করার অভিযোগ ওঠে। ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন কুণাল। যদিও জেল কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু চিকিৎসকরা জানান, তাঁর পেটের মধ্যে ঘুমের ওষুধ মিলেছিল। আজ, শুক্রবার সেই মামলারই রায়দান ছিল।