গড়শালবনিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে কারা হামলা চালিয়েছে তা নিয়ে এখনও চাপানউতোর তুঙ্গে। এনিয়ে ধরপাকড়ও শুরু হয়েছে পুরোদমে। তবে সূত্রের খবর শুক্রবার সকালেই কুড়মি নেতা তথা শিক্ষক রাজেশ মাহাতোকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আর রাতেই অভিষেকের কনভয় চলে যেতেই শুরু হয় ভাঙচুর। চলে ইট বৃষ্টি। তৃণমূলকে দেখে চোর চোর স্লোগান।
এদিকে ঘটনার পরেই যে কুড়মি নেতার নাম সামনে এনেছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। তিনি আর কেউ নন রাজেশ মাহাতো। বীরবাহা জানিয়েছিলেন গাছের আড়ালে ছিলেন রাজেশ মাহাতো। আমি প্রশ্ন করেছিলাম কেন এভাবে ইঁট ছোঁড়া হল? তিনি বলেছিলেন আমি কী করে জানব?
তবে সূত্রের খবর, সেই রাজেশ মাহাতোকেই শুক্রবার সকালেই বদলি করে দেওয়া হয়েছিল উত্তরবঙ্গে । খড়্গপুরের বানাপুরের একটা হাইস্কুলে ইংরেজি পড়ান রাজেশ। সেই রাজেশকেই বদলি করা হল কোচবিহারের চামটা আদর্শ হাই স্কুলে। সেই নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছিল আগামী ৫দিনের মধ্যে তাঁকে পুরানো স্কুল ছাড়তে হবে। তারপর তিনদিনের মধ্যে তাঁকে নতুন স্কুলে যোগ দিতে হবে। এমন নির্দেশ দেখে হতবাক অনেকেই। তবে কেন এই বদলি করা হয়েছিল তা নিয়ে অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। প্রশাসনিক গ্রাউন্ডে এটা করা হল নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে ওই রাতেই অভিষেক বলেছিলেন, একজনকেও রেয়াত করা হবে না। এরপরই গ্রেফতার করা হয় চারজনকে। তারপরই আটক করা হয় রাজেশ মাহাতোকে। এদিকে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছিলেন অভিষেক। তিনি জানিয়েছিলেন এই সময় সীমার মধ্যে স্পষ্টভাবে বলতে হবে।
অন্যদিকে শনিবার তৃণমূল নেত্রী শালবনিতে জানিয়েছেন, কুড়মিদের নাম করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপি দল।
কার্যত বিজেপির দিকে অভিযোগের তির ঘুরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তবে এবার কুড়মিদের অবস্থান কী হয় সেটাই দেখার। তাঁরা কি আর আন্দোলনের রাস্তায় থাকবেন নাকি আন্দোলন থেকে সরে আসবেন তা নিয়েও নানা চর্চা শুরু হয়েছে জঙ্গলমহলে। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে জঙ্গলমহলের রাজনীতিতে কুড়মি আন্দোলনকে ঘিরে কতটা অস্বস্তি বাড়তে শাসকদলের সেটাই দেখার।