মহেশতলায় দুই শিশু সহ তিনজনের দগ্ধ দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক রহস্য দানা বেঁধেছিল। পূর্ব মণ্ডলপাড়ার ওই বাড়িতে শনিবার মাঝরাতে আগুন লেগেছিল। তাতেই ৪৭ বছর বয়সী সোমা মণ্ডল ও তার দুই ছেলে সাহেব ও রাহুলের মৃত্যু হয়েছিল। তাদেরকে কি পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে? এমন সংশয় জোরালো হচ্ছিল ক্রমশ। এদিকে মৃতার ভাইয়ের দাবি মৃত সোমা মণ্ডলের সঙ্গে থাকত মূল অভিযুক্ত প্রভাস মণ্ডল। সে আগে বাসের চালক ছিল। পরে করোনা পরিস্থিতিতে তার কাজ যায়। ইদানিং সে সবজির ব্যাবসা করত। তবে সেখানেও টানাটানি চলছিল। এবার মহিলার ভাইয়ের দাবি, সেই পরিস্থিতিতে টাকা পয়সার টানাটানির জেরেই সে লিভ-ইন পার্টনার সহ দুই শিশুকে পুড়িয়ে মারে। মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আসলে সোমার স্বামী ছিল না প্রভাস। ২০১৫ সালে সোমার স্বামীর মৃত্যু হয়েছিল। পরে প্রভাস সোমার সঙ্গে থাকত। কিন্তু রাতে সচরাচর সে সবজির দোকানেই শুত। এদিকে সূত্রের খবর, প্রভাস সে রাতে বাড়িতে ছিল না। আচমকাই রাতে আগুন লাগে বলে খবর। আর তাতেই মৃত্যু হয় তিনজনের। এদিকে ঘরটি তালাবন্ধ ছিল। সেই বন্ধ ঘরে মৃ্ত্যু হয় তিনজনের। ঘরের সিলিন্ডারও লিক হয়েছিল। কিন্তু তাতে বিস্ফোরণ হয়নি। প্রশ্ন উঠছে তবে কি বাইরে থেকে তালাবন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল?
পুলিশ জানিয়েছে, প্রভাসের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন ও পুড়িয়ে মারার অভিযোগ তুলেছেন মৃতের ভাই। তার ভিত্তিতে প্রভাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে।