কালীপুজোর আগের রাতে কুকুরকে বাজি ছোড়ার প্রতিবাদ করায় বাড়ি এসে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দিয়ে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। ধর্ষণের হুমকি দিয়েছিল প্রতিবাদকারী যুবকেপ মা-কে। সেই আতঙ্কে আত্মঘাতী হলেন যুবকের মা। ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা থানা এলাকার। মৃত স্বপ্না অধিকারী (৩৮)-এর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় বেশ কয়েকজনে গ্রেফতার করেছে মহেশতলা থানা।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, কালীপুজোর আগের রাতে পাড়ার পুজোর প্রতিমা আনতে যাচ্ছিলেন মৃত স্বপ্নাদেবীর ছেলে জয়ন্ত। পথে সে দেখে কয়েকজন মদ্যপ যুবক কুকুরের গায়ে বাজি ছুড়ছে। কুকুরপ্রেমী জয়ন্ত এর প্রতিবাদ করেন। এর জেরে ঝামেলা বেঁধে যায়। জয়ন্তকে মারধর শুরু করে মত্ত দুবৃত্তরা। তবে ক্লাবের ছেলেদের মধ্যস্থতায় সেই ঝামেলা মেটে।
অভিযোগ, পরদিন জয়ন্তর বাড়িতে গিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে হুমকি দিয়ে আসে দুষ্কৃতীরা। ছেলেকে খুনের পাশাপাশি স্বপ্নাদেবীকে ধর্ষণের হুমকি দেয় তারা। এর পরই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন প্রৌঢ়া। আতঙ্কে সারাদিন ঘরের দরজা বন্ধ করে বসে থাকতেন তিনি। দরজায় কেউ আওয়াজ করলেই আতঙ্কে ভুগতে শুরু করতেন। পরিবারের তরফে মহেশতলা থানায় অভিযোগ জানানো হলেও প্রাথমিক ভাবে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
এরই মধ্যে শুক্রবার ফাঁকা বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন স্বপ্না অধিকারীরা। ছেলে বাড়ি ফিরে মাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। খবর দেওয়া হয় মহেশতলা থানায়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে অভিযুক্ত দুষ্কৃতীদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় প্রশ্ন উঠছে, কয়েকদিন আগে পদক্ষেপ করলে কি স্বপ্নাদেবীর এই পরিণতি রুখতে পারত না পুলিশ? কেন বার বার ঘটনা ঘটার পর ঘুম ভাঙে পুলিশের?