ইদানিং ছেলেটির চালচলন সন্দেহজনক হয়ে উঠছিল। কারণ ছেলেটি অতিরিক্ত টাকা ওড়াতে শুরু করেছিলেন বলে খবর। গ্রামের যুবকের এমন আচরণে সন্দেহ শুরু হয় প্রতিবেশীদের মনে। এই সন্দেহ থেকেই একজন খবর দেয় পুলিশে। তখন থেকেই যুবকের গতিবিধির উপরে গোপনে নজর রাখে পুলিশ। এই অবস্থায় হঠাৎ ওই যুবকের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা নগদ এবং সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। যদিও ওই যুবককে ধরা যায়নি। পুলিশ আসার আগেই গা–ঢাকা দিয়েছেন ওই যুবক।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবকের বাড়ি থেকে নগদ দুই লক্ষ টাকা এবং কিছু সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই গয়নার বাজারমূল্য এক লক্ষ টাকা। তদন্তের স্বার্থে এখনই ওই যুবকের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। ওই যুবককে গ্রেফতার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই ঘটনা থেকে সন্দেহ করা হচ্ছে, কোনও অপরাধমূলক চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ওই যুবক।
ঠিক কী ঘটেছে নন্দীগ্রামে? স্থানীয় সূত্রে খবর, নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের দাউদপুর পঞ্চায়েতের নয়নান গ্রামের বেগপাড়ায় এক যুবকের বাড়ি। ইদানিং তাঁর আচরণ দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। তাঁরা দেখেন, প্রায়ই ওই যুবক মোটা টাকা খরচ করছেন। এমনকী এই যুবক বাজারে গিয়ে তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে খাওয়াদাওয়া, ফুর্তি করতে থাকেন। তবে টাকা তিনি কোথা থেকে রোজগার করতেন তা কেউ জানত না। কোন অফিসে চাকরি করেন তা তিনি কাউকে বলতেন না। বরং ইদানিং প্রচুর দামি জামাকাপড় কিনতে শুরু করেন। যা স্থানীয়দের সন্দেহের কারণ।
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, এখানের একটি ক্লাবে তাস খেলতে গিয়েও টাকা খরচ করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ওই যুবক সেভাবে কোনও পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে কেউ জানত না। বরং সম্প্রতি ওই যুবকের বাড়িতে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের যাতায়াত শুরু হয়েছিল। বিষয়টি নজরে আসতেই পুলিশ গোপনে নজরদারি শুরু করে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা এলাকায় এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।