অনেকের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে গিয়েছে। কিন্তু কিছু সমস্যার জন্য কেউ কেউ টাকা পাননি। আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সকলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পেয়ে যাবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এমনই আশ্বাস দিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
সোমবার উত্তরবঙ্গে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগামী ৩০ অক্টোবর উপ-নির্বাচনের কারণে চারটি জেলায় মহিলাদের অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা দেওয়া হচ্ছে না। ওই জেলাগুলিতে অবশ্য ‘দুয়ারে সরকার’-এর শিবিরের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে ভবানীপুর, জঙ্গিপুর এবং সামশেরগঞ্জে পুরো শিবির শেষ হয়নি।
তারইমধ্যে মুখ্যসচিব জানান, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সমস্যার কারণেও একাংশের অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢোকেনি। যাঁদের এমন সমস্যা হয়েছে, তাঁদের বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারপর ১৫ নভেম্বরের মধ্যে তাঁদের অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা জমা পড়ে যাবে। উপ-নির্বাচনের কারণে যে জেলার মহিলারা টাকা পাননি, তাঁরাও ১৫ নভেম্বরের মধ্যে টাকা পেয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।
উল্লেখ্য, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের জেনারেল শ্রেণিভুক্ত পরিবারের মহিলারা মাসিক ৫০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত পরিবারের মহিলারা ১,০০০ টাকা পাবেন। ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের ইস্তাহারে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প চালু করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সেইমতো আবেদনপত্র নেওয়ার কাজ শুরু হয়। নবান্নের দাবি, মহিলা ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে কয়েকটি বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া সবাইকে সেই প্রকল্পের আওতায় রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেকেই সেই টাকা পেয়েছেন। তারইমধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নিয়ম আরও সরল করেছে রাজ্য। প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডকে মূল নথি ধরা হয়েছিল। সঙ্গে আধার কার্ড দিতে হত। আপাতত রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, কারও কোনও একটি নথি থাকলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদন করতে পারবেন।