ফের জঙ্গলমহলে ফিরছে মাও আতঙ্ক। দিন কয়েক আগেই বেলপাহাড়িতে উদ্ধার হয়েছে ল্যান্ডমাইন। এর সঙ্গেই রীতিমতো মাওবাদী লেখা পোস্টার সাঁটিয়ে বাংলা বনধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। প্রশ্ন উঠছে তবে কি আবার জঙ্গলমহলে নতুন করে ঘাঁটি গাড়ছে মাওবাদী সদস্যরা? আর সেই আশঙ্কা থেকেই এবার ল্যান্ড মাইন নিরোধক গাড়ি কী অবস্থায় রয়েছে তার খোঁজ শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বিগতদিনে ল্যান্ডমাইন নিরোধক তিনটি গাড়ি কিনেছিল রাজ্য পুলিশ।
মূলত জঙ্গলমহলে ল্যান্ড মাইনের আতঙ্ক যখন মাথাচাড়া দিচ্ছিল তখনই এই গাড়িগুলি কেনা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন সেগুলি বিশেষ ব্যবহার করা হয়নি। তবে এবার ফের সেই গাড়ির প্রয়োজন পড়তে পারে বলে নানা মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। মূলত জঙ্গলমহলে মাওবাদীরা কোথায় ল্যান্ডমাইন পুঁতে রেখেছে কি না সেটা নিশ্চিত করাটাই এখন পুলিশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
এদিকে বিগত দিনে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায় পুঁতে রাখা হত ল্যান্ড মাইন। তার উপর দিয়ে গাড়ি গেলেই সেই ল্যান্ডমাইন সশব্দে ফেটে যেত। মূলত পুলিশ ও যৌথবাহিনীর গাড়িগুলিকেই টার্গেট করা হত। তবে এক্ষেত্রে ল্যান্ডমাইন নিরোধক গাড়ি একমাত্র ভরসা হতে পারে।
এদিকে ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার হাতে ল্যান্ডমাইন নিরোধক দুটি গাড়ি রয়েছে। সেগুলিকে মেরামতি উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সেগুলিতে কিছু ত্রুটি ধরা পড়েছে। পাশাপাশি আরও এই ধরণের গাড়ি কেনার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, পোস্টার মেরে, ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নতুন করে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে চাইছে মাওবাদীরা। সেক্ষেত্রে পুলিশকে আগাম প্রস্তুত থাকাটা অত্যন্ত জরুরী।