প্রস্তাবিত দেউচা কয়লা খনির বিরোধিতায় এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় আদিবাসীরা। তবে সেই আন্দোলন বেশিদিন স্থায়ী হবে না বলেই মনে করছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। তাঁরা মনে করছেন, মানুষ ক্ষতিপূরণের টাকা এবং এবং চাকরি পেলেই আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াবেন। ইতিমধ্যেই স্থানীয়দের চাকরি এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়া শুরু হয়েছে। সেক্ষেত্রে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলেই জানিয়েছেন বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়। তাহলে কি দেউচাতে জমিদাতাদের আন্দোলন ক্রমেই শিথিল হয়ে পড়ছে? তা নিয়েও প্রশ্ন।
জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, ‘জমিদাতাদের ক্ষতিপূরণ এবং চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া শুরু হয়েছে। সেখানে ভাল সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।’ ফলে এখনও যারা জমি দেওয়ার বিরুদ্ধে তারা আগামী দিনে নিজেদের মত বদলাতে পারেন বলে মনে করছেন জেলাশাসক। দেউচার জমিদাতাদের আন্দোলনে বাইরে থেকে মদত দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে বাইরে থেকে যতই আন্দোলনের মদত দেওয়া হোক না কেন তা বেশিদিন টিকবে না বলেই মনে করছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা কালীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এখন প্রতিদিনই ক্ষতিপূরণের টাকা এবং চাকরি কবে পাওয়া যাবে জানতে চেয়ে ফোন করছেন জমিদাতারা। ফলে জমির পরিবর্তে তাদের চাকরি এবং ক্ষতিপূরণে যে আগ্রহ রয়েছে তা ভাল মতোই বোঝা যাচ্ছে। সেই কারণে বাইরে থেকে আনদলনে যতই মদত দেওয়া হোক তা বেশিদিন টিকবে না।’
ওই অঞ্চলে প্রচুর অবৈধ পাথর খাদান রয়েছে। যার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন আদিবাসীরা। সেগুলো বন্ধ করা হলে আদিবাসীরা সমস্যায় পড়তে পারেন। এখন সেই কথা বুঝতে পেরে আদিবাসীরা নিজেরাই একটু একটু করে আন্দোলন থেকে সরে যাচ্ছেন বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতাদের একাংশ।
তবে ক্ষতিপূরণের টাকা এবং চাকরি দেখে বাকীরা যেভাবে প্রভাবিত হয়েছে তাতে আন্দোলন কতদিন টিকবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন আদিবাসীদের একাংশ। যদিও আদিবাসীদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছে সিপিএম।