Ghatal Master plan: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য জমি দিতে এগিয়ে এলেন মালিকরা, স্বাক্ষর সম্মতিপত্রে

জমি জট কাটাতে এদিন জমির মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে স্থানীয় প্রশাসন। সব মিলিয়ে ৪০ জন জমির মালিককে ডাকা হয়েছিল বৈঠকে। তবে তাতে যোগ দিয়েছিলেন ১৪ জন। ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস জানান, ঘাটাল শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে জমির মালিকদের সঙ্গে এদিন বৈঠক হয়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। তবে এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে আসছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মাস্টার প্ল্যানের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। তবে কিছু জায়গায় জমি জট তৈরি হয়েছিল। এবার সেই জট কিছুটা কাটল। জমি দিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে এলেন জমির মালিকরা। সোমবার ১৪ জন সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের জন্য জমির মালিকদের এই স্বতঃস্ফূর্ত আগ্রহ দেখে খুশি হয়েছেন আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা। (

জমি জট কাটাতে এদিন জমির মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে স্থানীয় প্রশাসন। সব মিলিয়ে ৪০ জন জমির মালিককে ডাকা হয়েছিল বৈঠকে। তবে তাতে যোগ দিয়েছিলেন ১৪ জন। ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস জানান, ঘাটাল শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে জমির মালিকদের সঙ্গে এদিন বৈঠক হয়। মালিকদের অনেকেই স্বেচ্ছায় জমি দিতে এগিয়ে এসেছেন, যেটা খুবই ভালো উদ্যোগ। পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আশিস হুদাইতও এদিন উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, কিছু মানুষ জমি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। তবে সেখানে গিয়ে দেখা গিয়েছে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে এসে সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। (

উল্লেখ্য, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অংশ হিসেবে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীরামপুরে দুটি পাম্প হাউস করার পরিকল্পনা রয়েছে। তারমধ্যে শ্রীরামপুরে পাম্প হাউসের জন্য দু’একর জমির প্রয়োজন। এদিন এই এলাকার জমির মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রশাসন।  এর পাশাপাশি ঘাটাল পুরসভার চেয়ারম্যান তুহিনকান্তি বেরা, ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সহকারী সভাপতি তথা ঘাটাল ব্লক সভাপতি দিলীপকুমার মাজি প্রমুখও উপস্থিত ছিলেন এদিন বৈঠকে। মহকুমা শাসক জানান, এখনও পর্যন্ত যাঁরা স্বাক্ষর করেননি তাঁদের স্বাক্ষরের জন্য কাগজপত্র কাউন্সিলরকে দেওয়া হয়েছে। দ্রুতই তাঁদের সম্মতি পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। (

উল্লেখ্য, শ্রীরামপুরে পাম্প বসানোর জায়গায় কয়েকটি দোকান রয়েছে। সেই দোকানগুলি সরানোর প্রয়োজন রয়েছে। আশিসবাবু জানান, নিয়ম মেনেই জমির মালিকদের টাকা দিয়ে জমি কেনা হবে বলে। প্রশাসন দাম ঠিক করবে। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অংশ হিসেবে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দীর্ঘ উঁচু প্রাচীর তৈরি করা হবে। এরজন্য শহরে মূল বাজার এলাকায় নদী থেকে ৬০ ফুট এলাকার মধ্যে থাকা দোকান ও বাড়ি সরিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আশিসবাবু জানান, মানুষ এই প্রকল্পের জন্য জমি দিতে ইচ্ছুক। তাই কিছু মানুষ জমি না দেওয়ার জন্য উসকানি ।দিলেও তাতে লাভ হবে না।