নাগাড়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গে। তার জেরে ফের ধস নেমেছে টয় ট্রেনের লাইনে। শনিবার সকালে এই ধস নামে দার্জিলিংয়ের রংটং স্টেশনের কাছে। আগেও এখানে ধস নেমেছিল। তবে এবার টয় ট্রেন লাইনে ধস নেমেছে। দ্রুত সেখান থেকে ধস সরানোর কাজ চলছে। তবে দুর্গাপুজোর আগে দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেন লাইনে পর পর ধস নামায় ওই পরিষেবা চালু করা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তবে দ্রুত টয় ট্রেন পরিষেবা চালু করার আশ্বাস দিয়েছেন দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
ঠিক কী হয়েছে দার্জিলিংয়ে? স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ, শনিবার সকালে দার্জিলিংয়ের ১২ মাইল এলাকায় রংটং স্টেশনের কাছে ধস নামে টয় ট্রেনের লাইনে। ধসের জেরে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দ্রুত ধস সরানোর কাজ শুরু করেছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। গত ৩ সেপ্টেম্বর ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে ১৭ মাইল এলাকায় রংটং এবং তিনধারিয়া স্টেশনের মাঝে রেললাইনের উপর ধস নেমেছিল। এবার আবার নামল ধস।
ঠিক কী জানাচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ? এই ধসের বিষয়ে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের অধিকর্তা একে মিশ্র বলেন, ‘রুদ্ধশ্বাস গতিতে আমাদের কাজ চলছে ১৭ মাইল এলাকায়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর ট্রেন চালু করার কথা থাকলেও সেটা হয়ে ওঠেনি। তবে আমরা আশা করছি ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে টয় ট্রেন চালু হবে৷ সেই লক্ষ্যে কাজ চলছে।’ দুর্গাপুজোর সময় বহু পর্যটকই পাহাড়ে বেড়াতে চলে যান। আর সেখানে টয় ট্রেনে উঠে প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখতে চান। সেখানে টয় ট্রেন পরিষেবা না থাকলে পর্যটন ধাক্কা খাবে।
আজ কী দেখা গেল? আজ, শনিবার ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজো। সেখানে ধসের জেরে টয় ট্রেন পরিষেবা বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে শনিবার বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করা হয়েছে টয় ট্রেনের লোকোশেডে। দ্রুত পরিষেবা যাতে চালু হয় তার জন্য প্রার্থনা করেছেন টয় ট্রেনের কর্মীরা। এই ছবি আগে দেখা যায়নি। শিলিগুড়ি থেকে চা–বাগানের বুক চিড়ে যাতে দার্জিলিং যাওয়া যায় সেটা চান সব পর্যটকই। এখন দেখার কত তাড়াতাড়ি পরিষেবা স্বাভাবিক হয়।