কয়েকদিন আগেই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কুলতলির মৈপীঠে বাঘের আগমন ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। তবে সেই বাঘ ফের জঙ্গলে ফিরে যায়। তবে এবার সেই মৈপীঠেই ফের নতুন করে ফিরল বাঘের আতঙ্ক। রিপোর্ট অনুযায়ী, রবিবার সকালে কুলতলির মৈপীঠের গঙ্গার ঘাট এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান গ্রামবাসীরা। দাবি করা হয়, একসঙ্গে দুটি বাঘ এসেছে সেখানে। সেই খবর পেয়ে সেখানে যান বনর্মীরা। পায়ের ছাপ পরীক্ষা করে দেখেন তাঁরা। পরে বনকর্মীরা দাবি করেন, আপাতত লোকালয় লাগোয়া বনেই ঘুরে বেড়াচ্ছে সেই বাঘ। এই আবহে বাঘ যাতে লোকালয়ে প্রবেশ না করতে পারে, তার জন্যে শক্ত নাইলনের জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে জঙ্গলের সেই অংশ। এছাড়া বাঘ ধরার জন্যে খাঁচাও পাতা হয়েছে। (আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৩ দিন ধরে নিখোঁজ হিন্দু ব্যবসায়ী, আতঙ্কিত পরিবার, তদন্তে পুলিশ)
আরও পড়ুন: জেলে বসে একবছরে আয় ২২৪১০ কোটি, নির্মলাকে চিঠি সুকেশের, আয়কর বাবদ দিলে চাইলেন...
গ্রামবাসীরা অনুমান করছেন, ঠাকুরান নদী পেরিয়ে সেখানে এসেছে দুই বাঘ। এই আবহে রাতভর এলাকায় মশাল জ্বালিয়ে ছিলেন গ্রামবাসীরা। এদিকে বাঘ যাতে লোকালয়ে না আসে, তার জন্যে পটকা ফাটানো হয়। উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহে এ নিয়ে তিন বার সুন্দরবনের আজমলমারির জঙ্গল থেকে বাঘ মৈপীঠ কোস্টাল থানা এলাকায় ঢুকে পড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। দিন কয়েক আগেই বৈকুণ্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীকান্ত পল্লি ও কিশোরীমোহনপুর এলাকায় জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছিল। সেই বাঘ ফিরে যাওয়ার পরে ফের মাকড়ি নদীর পারে ম্যানগ্রোভের ঝোপে দেখা গিয়েছিল। সেই বাঘও ফিরে যায় জঙ্গলে। আর এবার জোড়া বাঘের আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছে মৈপীঠের। (আরও পড়ুন: 'অনন্তকাল…', '৯০ ঘণ্টা কাজ' বিতর্কে এবার চাঁচাছোলা মন্তব্য সঞ্জীব গোয়েঙ্কার)
স্থানীয়দের দাবি, রবিবার সকালে মৈপীঠের কিশোরীমোহনপুর এলাকায় যে গঙ্গাঘাট রয়েছে তার পাশেই বাঘের তাজা পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। যে পায়ের ছাপগুলি লক্ষ্য করা গিয়েছে, তা সব জায়গায় সমান ছিল না। কোথাও পায়ের ছাপ ছোট ছিল, কোথাও বড় ছিল। এই আবহে গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, একসঙ্গে দুটি বাঘ সেখানে এসে থাকতে পারে। তাঁরা দাবি করছেন, ঠাকুরান নদী পেরিয়ে লোকালয় সংলগ্ন জঙ্গলে ঢুকেছে এই দুটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। এরপরেই স্থানীয়রা বন বিভাগকে খবর দেন। পাশাপাশি তারা মৈপীঠ কোস্টাল থানার পুলিশকে খবর দিয়েছেন। এদিকে, খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছেছেন বন দফতরের কর্মীরা। সেখানে বাঘ আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হয়। এই অবস্থায় লোকালয়ে বাঘের প্রবেশ রুখতে ওই অঞ্চলে নাইলনের জাল দিয়ে ঘিরে ফেলে বন দফতর। ইতিমধ্যেই এক কিলোমিটার জায়গা সেখানে ঘিরে ফেলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।