প্রেমিকের প্ররোচনায় আত্মঘাতী হয়েছেন প্রেমিকা বলে অভিযোগ। আইনজীবী প্রেমিকার আত্মহত্যা নিয়ে এমনই অভিযোগ উঠেছে। কারণ তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে ঝুলন্ত দেহ। আর শিলিগুড়ির এই ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রেমিককে। তিনিও আইনজীবী। এই পেশায় থেকেই তাঁদের পরিচয় থেকে প্রেম বলে খবর।
ঠিক কী ঘটেছে শিলিগুড়িতে? স্থানীয় সূত্রে খবর, এই পেশায় এসে দু’জনের সম্পর্ক তৈরি হয়। তারপর থেকে প্রণয় তৈরি হয় তাঁদের মধ্যে। দু’জনের প্রেমের সম্পর্ক চলে অনেক দিন। তারপর তাঁদের বিয়ের ঠিক হয়। বিয়ের তারিখও ঠিক হয়ে গিয়েছিল। কেনাকাটা থেকে বিয়েবাড়ি বুকিং—সবই চলছিল রুদ্ধশ্বাস গতিতে। তার মধ্যেই তাল কাটল এই রহস্যমৃত্যুতে।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত আইনজীবী যুবতীর নাম মেধা সাহা। তাঁর বাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। তিনি শিলিগুড়ির বাসিন্দা এবং পেশায় আইনজীবী ছিলেন! এই ঘটনায় রবিবার গ্রেফতার করা হয়েছে হবু স্বামী দেবাঞ্জন চক্রবর্তী নামে যুবককে। এখানে পণের একটি বিষয় উঠে আসছে। সেটা না পেলে বিয়ে করবেন না যুবক বলে যুবতীর পরিবারের অভিযোগ। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
ঠিক কী অভিযোগ পরিবারের? মৃত যুবতীর পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পাকা কথা হতেই পণের জন্য চাপ দিতে থাকে দেবাঞ্জন। প্রথমে দু’কামরার ফ্ল্যাট এবং ৫০০ স্কোয়ার ফুটের একটি চেম্বার করে দিতে বলেন দেবাঞ্জন। কিন্তু সেটা তাঁদের সামর্থ্যের বাইরে বলে দেওয়া হয়। তারপর শ্বশুরবাড়ির থেকে নগদ টাকা দাবি করেন আইনজীবী দেবাঞ্জন। তাঁকে ৫ লক্ষ টাকা দেন। তারপর আবার ২০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। আর এই টাকা না পেলে মেয়েকে বিয়ে করবেন না বলে জানান দেবাঞ্জন। তা থেকেই আত্মহত্যা।