অফিসটা নিজের। আর সেখানেই মহিলা কর্মীকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তারপর প্রথমে কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়। তারপর তাতে কাজ না হওয়ায় ভয় দেখানো হয়। তাতেও কাজ না হতে সরাসরি ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগ উঠেছে এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে স্বপন কুণ্ডু নামে ওই আইনজীবীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শোরগোল পড়ল নিমতায়।
ঠিক কী ঘটেছে নিমতায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, আইনজীবী স্বপন কুণ্ডুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন মহিলা কর্মী। মঙ্গলবার এই মহিলা কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছিল। স্বপন কুণ্ডুর অফিসে টাইপিস্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন। বুধবার ওই আইনজীবী মহিলাকে তার অফিসের অন্য ঘরে ডেকে পাঠায়। সেখানেই তাঁকে জড়িয়ে ধরা হয়। দরজা বন্ধ করে কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়।
কী অভিযোগ নির্যাতিতা মহিলার? পুলিশকে দেওয়া নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, প্রথমে অন্য ঘরে ডেকে পাঠানো হয়। তারপর অফিস ঘুরিয়ে দেখানোর অছিলায় ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয় স্বপন। তখন বলে পেশায় উন্নতি করতে হলে হৃদয় বড় করতে হয়। এই বলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে। এমনকী অন্তর্বাস খুলে দেওয়ার চেষ্টা করে। ধর্ষণ করার চেষ্টাও করে। কিন্তু তাকে ধাক্কা দিয়ে বেরিয়ে আসে ওই মহিলা।
পুলিশ মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই আইনজীবী স্বপন কুণ্ডুকে গ্রেফতার করেছে। যদিও স্বপনবাবু ওই মহিলার বিরুদ্ধে টাকা চুরির অভিযোগ করেছেন। নির্যাতিতা মহিলা নিমতা থানায় এসে সমস্ত ঘটনা জানিয়ে আইনজীবী স্বপন কুণ্ডুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত স্বপনবাবু আগেও তার অফিসে কর্মরত মহিলাদের নানা ধরনের কটূক্তি করতেন বলে অভিযোগ করেছেন তার অফিসের অন্যান্য মহিলা কর্মচারীরা।