আগে একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছিল। তারপর দেখা গিয়েছিল, মান–অভিমানের পালা। তারইমধ্যে বিহার নির্বাচনে তুলনামূলক ভালো ফলাফল করেছে বামেরা। এবার কালীপুজো মিটতেই দ্বিতীয় দফার বৈঠকে বসতে চলেছেন বাম ও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। অধীর চৌধুরী–বিমান বসু তরজা এখন অতীত। দলের অন্দরের কোন্দল থামিয়ে জোট করে লড়াই করাটাই এখন কংগ্রেসের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে অধীর দায়িত্ব নেওয়ার পরে কংগ্রেসের সঙ্গে চার বাম দলের নেতাদের প্রথম বৈঠক হয়েছিল ক্রান্তি প্রেসে। বিহারে বিধানসভা ভোটের ফলাফলের পরে এবারের বৈঠকের জন্য তৎপরতা দেখিয়েছে কংগ্রেস। কারণ বামেদের ফল ভালো। প্রদেশ সভাপতি অধীরবাবুর সঙ্গে রবিবার প্রদেশ কংগ্রেস সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান প্রদীপ ভট্টাচার্যের কথা হয়েছে। অধীরবাবুর সঙ্গে আলোচনা করে বৈঠকের প্রস্তাব নিয়ে প্রদীপবাবু কথা বলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু ও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র্রের সঙ্গে। অধীরবাবুর সঙ্গেও বিমানবাবুর কথা হয়েছে। আগামিকাল (মঙ্গলবার) ফের বৈঠকে বসবে।
সোমবার প্রদীপবাবু বলেন, ‘যৌথ কর্মসূচি, রাজ্য ও জেলাস্তরকে আরও জোরদার করা দরকার। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের জনবিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধেই আমরা আরও জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলতে চাই।’ আগামী বুধবার (১৮ নভেম্বর) রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। লকডাউনের মধ্যে বিপুল মানুষের কাজ হারানো, তারইমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার শিক্ষা, কৃষি ও শ্রম ক্ষেত্রে একের পর এক বিল পাশ করে সাধারণ মানুষের দুর্দশা বাড়িয়েছে। তার প্রতিবাদে ২৬ নভেম্বর ধর্মঘটে ছাত্র সমাজকেও সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এসএফআই, এআইএসএফ, পিএসইউ, ছাত্র ব্লক, আইসা এবং ডিএসও।