আবার বাম–রামের জোটের ছবি দেখা গেল। নন্দকুমারের ছায়া এবার পড়েছে মহিষাদলে। এখানের সমবায় নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাতে একসঙ্গে হাত মিলিছে দুই দল। আর পাল্টা এই জোটকে অশুভ আঁতাত বলে প্রচারে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সমবায় নির্বাচনেও তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের ধারা অব্যাহত। নন্দকুমারে আগে এই জোট হয়েছিল। সেখানে ঠেকানো গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে। তাই আবার মহিষাদলেও একই পথে হাঁটল বাম–রাম। অর্থাৎ বামফ্রন্ট এবং বিজেপির জোট।
ঠিক কী ঘটেছে মহিষাদলে? পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের বহরমপুর সমবায়ের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে ঠেকাতে বাম–বিজেপি জোট করেছিল। তাতে এসেছিল সাফল্য। এবার সেই জোটের ছায়া মহিষাদলের কেশবপুর জালপাই রাধাকৃষ্ণ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির পরিচালন সমিতির নির্বাচনেও দেখা যাচ্ছে। তবে এবার ফলাফল একইরকম হবে কিনা তার উত্তর মিলবে ২০ নভেম্বর।
কেমন সমীকরণ হয়েছে সেখানে? আগামী ২০ নভেম্বর রাধাকৃষ্ণ সমবায়ের নির্বাচন হবে। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত ওই সমবায়ে রয়েছে মোট ৭৬টি আসন। সব ক’টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেখানে জোট গড়ে ৬২টি আসনে বিজেপি এবং ১৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বামেরা। ১টি আসনে বিরোধীদের কোনও প্রার্থী নেই বলে আসনটি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে গিয়েছে। ফলে আবার সমবায় সমিতির নির্বাচনে বোঝাপড়া করে প্রার্থী দিল বাম–বিজেপি।
কার কী প্রতিক্রিয়া জোট নিয়ে? এই বাম–রামের জোট নিয়ে ইটামগরা–২ অঞ্চলের বিজেপির নেতা রামকৃষ্ণ দাস বলেন, ‘এই সমবায়কে আমরা বাঁচানোর স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করছি।’ মহিষাদলের সিপিআই ইটামগরা–২ আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদক সুধাংশু বারিক বলেন, ‘আমাদের লড়াই মূলত তৃণমূলের বিরুদ্ধেই। সেক্ষেত্রে আমরা মানুষের জোট করেছি।’ মহিষাদলের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, ‘শুধু মহিষাদলের সমবায় নির্বাচনেই নয়, রাজ্যজুড়েই বাম, বিজেপি এবং কংগ্রেস হাত মিলিয়েছে। ওদের এই চক্রান্ত স্পষ্ট হচ্ছে। বাংলার মানুষ সেটা বুঝেছে।’