আগামীকাল, রবিবার আমতা থানা ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়া হয়েছে। কারণ আনিস খানের ভাইয়ের উপর রাতের অন্ধকারে হামলা করা হয়েছে। এখন হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। এই থানা ঘেরাও করার ডাক দিয়েছে ডিওয়াইএফআই। সঙ্গে থাকবে এসএফআই। শুক্রবার রাতে আমতায় নিজের বাড়িতেই হামলার শিকার হয়েছেন আনিস খানের ভাই সলমন খান। যিনি এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী। তাঁর উপরই ধারাল অস্ত্রের কোপ বসিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তার জেরে রবিবার আমতা থানা ঘেরাওয়ের ডাক দিল বাম ছাত্র–যুব সংগঠন।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? আজ, শনিবার ডিওয়াইএফআই রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে আনিস খানের ভাই সলমন খানকে দেখতে যাওয়া হবে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে। সেখান থেকে আমতা থানার সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি হবে। ডিওয়াইএফআই–এসএফআই একসঙ্গে রবিবার থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করবে। কলকাতাতেও হবে বিক্ষোভ–অবরোধ কর্মসূচি। ইতিমধ্যেই আমতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন এসএফআই রাজ্য সভাপতি প্রতীক উর রহমান। রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য জানান, আজ বিক্ষোভ কর্মসূচি হবে। রবিবার আমতা থানা ঘেরাও করা হবে।
ঠিক কী বলেছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়? আজ, শনিবার জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে নেমে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সলমন খানের উপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। একইসঙ্গে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে নামতে হবে। আনিসের বাড়ি ঢোকার আগে একটি চালার নীচে দিনরাত পুলিশ বসে থাকে। তাহলে কীভাবে বাড়িতে ঢুকে সলমনের মাথায় ভোজালির কোপ মারল দুষ্কৃতীরা? আনিসের খুনের মামলায় অন্যতম সাক্ষী সলমন খান। এবার তাঁকেও সরিয়ে দেওয়ার ছক করা হল। আগেও আনিসের দাদা সাবির খান–সহ পরিবারের লোককে হুমকি দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। কিন্তু থানা অভিযোগ নেয়নি।’
এখন ঠিক কী পরিস্থিতি? আনিসের মৃত্যুর পর এগিয়ে আসতে দেখা গিয়েছিল ভাই সলমন খানকে। আর ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুতে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য–রাজনীতি। সেই রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই এবার আক্রান্ত আনিস খানের ভাই সলমন খান। গোটা পরিবার আতঙ্কে রয়েছে। অন্যদিকে সলমন খানের শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হয়ে উঠেছে। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন সলমন খান। তাই আজ, শনিবার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর কলকাতায় সমাবেশ ডেকেছে বাম ছাত্র–যুবরা। তার নাম দেওয়া হয়েছে ইনসাফ সভা। এখানে তোলা হবে গোটা ঘটনা।