আবার ডুয়ার্সে চিতাবাঘের রহস্যমৃত্যু ঘটল। তবে কেউ গুলি করে শিকার করেনি। কোনও বিষ শরীরে প্রবেশ করেছিল বলেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে বন দফতরের প্রাথমিক অনুমান। কারণ চিতাবাঘের মুখ দিয়ে গ্যাজলা বেরিয়ে পড়েছিল। চা–বাগানের নিকাশি নালা থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় চিতাবাঘকে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
ঠিক কী ঘটেছে ডুয়ার্সে? স্থানীয় সূত্রে খবর, আজ, বুধবার উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের ডায়না চা–বাগানে কাজে গিয়েছিলেন শ্রমিকরা। তখন তাঁরা নিকাশি নালায় চিতাবাঘকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এই দেখার পর খবর দেওয়া হয় বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডে। তারপরই ঘটনাস্থলে এসে বন দফতরের কর্মীরা গিয়ে মৃত চিতাবাঘকে উদ্ধার করেন।
বন দফতর কী মনে করছে? বন দফতর সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে এই চিতাবাঘের মৃত্যু হয়েছে। শরীরে চোট, আঘাতের চিহ্ন নেই। কোনও বিষ চিতাবাঘের শরীরে প্রবেশ করেছিল। যার জন্য যন্ত্রণা অনুভব করে প্রাণীটি। তাই নালার কাছে জল খেতে গিয়েছিল। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি ঠিক হয়নি। উলটে মারা যায় ওই চিতাবাঘ। চিতাবাঘের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য গরুমারা প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগেও মৃত চিতাবাঘ উদ্ধার করা হয়েছিল। এপ্রিল মাসেই ডুয়ার্সের তোতাপাড়া–জালাপাড়াগামী রাস্তায় একটি চিতাবাঘের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল। এবার একই মাসে আবার মিলল চিতাবাঘের মৃতদেহ। তাহলে কী কেউ বিষ প্রয়োগ করছেন? উঠছে প্রশ্ন। রাস্তায় ফেলে রাখা বিষ খেয়েই একের পর এক চিতাবাঘ মারা যাচ্ছে। যা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে।