অবশেষে ধরা পড়ল পলাতক চিতাবাঘ। যে চিতাবাঘকে ধরতে ঘুম ছুটেছিল বনদফতরের অবশেষে ঘুম পাড়ানি গুলিতে সেই চিতাবাঘকে কাবু করলেন বনকর্মীরা। বনদফতর সূত্রে খবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমঙ্গল জুলজিকাল পার্ক থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল আস্ত চিতাবাঘটি। এরপরই একেবারে খোঁজ খোঁজ ব্যাপার। চারদিক খুঁজে ফেলেন বনকর্মীরা। কিন্তু কোথায় খোঁজ মিলছিল না। এদিকে বাসিন্দাদের সতর্ক করতে মাইকে ঘোষণা করাও শুরু হয়ে যায়। সব মিলিয়ে চিতাবাঘের আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসেছিল এলাকায়।এরপর পালিয়ে যাওয়ার প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর খোঁজ মিলল চিতাবাঘের। আর সেটাও কিনা ওই চিড়িয়াখানা চত্বরের মধ্যেই। হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন বনকর্মীরা। তবে চিতাবাঘের পালানোর ঘটনায় একেবারে হইচই পড়ে গিয়েছিল এলাকায়।
রাজ্যের মুখ্য বন্যপ্রাণ আধিকারিক দেবল রায় বলেন, মহিলা চিতাবাঘটি কোনওভাবে ঘেরা জায়গা থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। সেটিকে চিড়িয়াখানা চত্বরের মধ্যে থেকেই ধরা হয়েছে। ঘুমপাড়ানি গুলি করা হয়েছিল। তবে এটি স্থিতিশীল রয়েছে। দুজন পশু চিকিৎসক তার উপর নজর রাখছে। দ্রুত এটি খাঁচায় দেওয়া হবে। চিড়িয়াখানা সূত্রে খবর, দুটি পূর্ণবয়স্ক ও দুটি শিশু চিতাবাঘ এই জুলজিকাল পার্কে রয়েছে। এদিকে ঝাড়গ্রাম শহর থেকে এটি মাত্র ২ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে জায়গাটি। সেকারনে চিতাবাঘ পালানোর ঘটনায় আরও আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। এরপর ব্যাপক তল্লাশি শুরু হয়। এরপর চিড়িয়াখানার মধ্যে চিতাবাঘের পায়ের ছাপ দেখা যায়। এদিকে চিতাবাঘ ধরতে খাঁচাও পাতা হয়। চারটি টিম তল্লাশি শুরু কর। শেষ পর্যন্ত ভোর রাতের দিকে বনকর্মীরা নিশ্চিত হয়ে যান চিড়িয়াখানার মধ্যেই কোথাও ডেরা নিয়েছে চিতাবাঘটি। শেষ পর্যন্ত দুপুর দেড়টা নাগাদ ঝোপের আড়ালে দেখা যায় চিতাবাঘটিকে।