কোডিভ পজিটিভ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামী ফেরার হয়ে গেল উত্তরবঙ্গে। তাকে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথে চম্পট দেয় সে। ভিম রাইকে খুঁজে পাওয়ার জন্য এখন তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালাচ্ছে পুুলিশ।
২০১১ সালে বউকে হত্যা করার অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পায় ভিম রাই। জলপাইগুড়ি সেন্ট্রাল জেলে ছিল সে। এক সপ্তাহ আগে একমাসের জন্য প্যারোল পায় সে। কিন্তু সেখানেই বিপত্তি। করোনা আক্রান্ত হয় এই দাগী আসামী।
রবিবার সন্ধ্যাবেলায় তাকে কালিম্পয়ংয়ের ত্রিবেণী কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এটি ভিমের গ্রাম লোধোমা থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটারের পথ। অ্যাম্বুলেন্স করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সেটিতে কোনও রক্ষী ছিল না বলে কারা অফিসাররা জানিয়েছেন।
লোধোমা থানার দায়িত্ব পুলিশ অফিসার সুবোধ দত্ত বলেন যে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার অজুহাতে ঘন জঙ্গলের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স থামায় ওই ব্যক্তি। পুরো জায়গাটি অন্ধকার ছিল ও সেই সুযোগ নিয়ে পালায় সে। সার্চ অপারেশন শুরু হয়েছে অপরাধীকে আটক করার জন্য।
পলাতক অপরাধীর মেয়ে ও বড় ভাই ও কয়েকজন গ্রামবাসীকে ইতিমধ্যেই কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। কিন্তু জেলে আরেক অপরাধীর সঙ্গে ভিম একটি রাত একসঙ্গে ছিল। সেই ব্যক্তিকেও প্যারোলে ছাড়া হয়েছে। সেই কারণে কতটা সংক্রমণ ছড়িয়ে গিয়েছে এই নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ কর্তা বলেন যে জানি না কত লোকের সংস্পর্শে এসেছিল এই করোনা রোগী। শুক্রবার করোনা ধরা পড়লেও রবিবার অ্যাম্বুলেন্স এসে পৌঁছায়। কোনও নিরাপত্তারক্ষীও ছিল না, এখন তো সে চম্পটই দিয়েছে, স্বীকারোক্তি বরিষ্ঠ অফিসারের।
দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুনাম্বলম জানান যে তাঁরা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে এই অপরাধীকে খুঁজে বার করবেন। জলপাইগুড়ি সেন্ট্রাল জেলের কর্তারা বলছেন যে অনেক আসামী যাদের প্যারোলে ছাড়া হয়েছে বা জেলে থাকার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় বাড়ি গিয়েছে, তাদের কোভিড ধরা পড়ছে। জেলে এত লোক যে অনেক আসামীর করোনা পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে। জেলে কর্মরত লোকেদের মধ্যেও ছড়াচ্ছে সংক্রমণ।