দীপাবলিতে পূর্ব মেদিনীপুরে ৪ কোটি ৯০ লক্ষ টাকার মদ বিক্রি হল। বিরোধী দলনেতার জেলায় এটা প্রায় রেকর্ড বিক্রি। তবে জেলায় মদ বিক্রি করে পাঁচ কোটি টাকা আয়ের টার্গেট ছিল আবগারি দফতরের। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং নিয়ে সতর্কতা থাকায় দিঘা–মন্দারমণিতে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অন্তত ১০ লক্ষ টাকার কম মদ বিক্রি হয়েছে। তমলুক, পাঁশকুড়া এবং হলদিয়া এলাকায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ভাইফোঁটায় চার কোটির বেশি বিক্রির আশা করছেন আবগারি দফতরের কর্তারা।
ঠিক কী বলছে আবগারি দফতর? আবগারি দফতরের তমলুকের সুপার যতীনচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘দীপাবলিতে জেলায় ৪ কোটি ৯০ লক্ষ টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। আমাদের মনে হয়েছিল, পাঁচ কোটি টাকার মদ বিক্রি হবে। ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সতর্কতা থাকায় দিঘা, তাজপুর, মন্দারমণিতে পর্যটকরা ঘোরাফেরা করতে পারেননি। বেশিরভাগ হোটেলবন্দি ছিলেন। আবার অনেকে বুকিং বাতিল করেছেন। তাই টার্গেটের তুলনায় কিছুটা কম মদ বিক্রি হয়েছে।’
গোটা হিসাব কেমন দাঁড়াল? আবগারি দফতর সূত্রে খবর, দুর্গাপুজোর চারদিনে এই জেলায় ২৪ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকার মদ বিক্রি হয়েছিল। দুর্গাপুজো সময় হাউসফুল ছিল দিঘা–মন্দারমণি। তাই উপকূল এলাকা থেকে লক্ষ্মীলাভ হয় আবগারি বিভাগের। সেখানে কালীপুজোর আগে থেকে উপকূলে শুরু হয় সতর্কবার্তা। চার–পাঁচদিন ধরে নাগাড়ে প্রচার চালিয়েছে প্রশাসন। দীপাবলির দিন তাজপুর, দীঘা, মন্দারমণিতে সমুদ্রে নামার সুযোগ ছিল না। তাতে প্রায় দশ লক্ষ টাকার কম বিক্রি হয়েছে।
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মোট ২৫৪ কোটি টাকার মদ বিক্রির টার্গেট দেওয়া হয়। জেলায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত মোট ২৭২টি মদের দোকান রয়েছে। কালীপুজোর বিসর্জন পর্যন্ত অতিরিক্ত চাহিদা থাকবে বলে মনে করা হয়েছিল। সুরাপ্রেমীদের বাড়তি চাহিদা মেটাতে সব দোকানে পর্যাপ্ত স্টক রাখা হয়েছে। অক্টোবর মাসে ১২৫ কোটি টাকার মদ বিক্রির টার্গেট দেওয়া হয়েছে। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ওই টার্গেট ছাপিয়ে ১৩০ কোটিতে পৌঁছে যেতে পারে।