আন্দুলে হবে রেলের কাজ। যার জেরে একের পর এক ট্রেন বাতিল হবে এবার। এমন খবরই ছড়িয়ে পড়েছিল। রেলযাত্রীদের মধ্য়েও এনিয়ে চরম উদ্বেগ ছড়ায়। কোন ট্রেন বাতিল হবে কোন ট্রেন বাতিল হবে না সেই সংক্রান্ত নানা জল্পনা চলতেই থাকে দিনভর।
রেল এখন কী বলছে?
তবে এবার রেলের তরফে জানানো হয়েছে যে খড়্গপুর ডিভিশনের আন্দুল স্টেশনে প্রস্তাবিত প্রি নন ইন্টারলকিং ও নন ইন্টারলকিং কাজের জন্য ট্রেন বাতিল, ট্রেন অন্য রুটে ঘুরিয়ে দেওয়া বা ট্রেনের রুট সংক্ষিপ্ত করার বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এক্ষেত্রে কিছু রদবদল, সংযোজন, বিয়োজন হতে পারে। এরপরই রেলের তরফে জানানো হয় আগের যে তথ্য় রয়েছে সেটা এড়িয়ে যান।
এখানেই প্রশ্ন যাত্রীদের একাংশের, কেন বার বার রেল এভাবে নোটিশ বদল করছে? এর জেরে যাত্রীরা কার্যত বিভ্রান্ত। বলা হয়েছিল দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের তরফে যে খড়্গপুর ডিভিশনে প্রচুর ট্রেন বাতিল করা হবে ধাপে ধাপে।
কিন্তু তারপরে জানানো হচ্ছে সেই আগের নোটিশকে 'ইগনোর' করতে।
এদিকে রেলের তরফে আগে বলা হয়েছিল, সাঁকরাইল-সাঁতরাগাছি লিঙ্ক লাইনে এই কাজ চলবে। সেকারণে শতাধিক লোকাল ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। এছাড়াও অন্তত ৫০টির বেশি এক্সপ্রেস ট্রেনও বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা আগে জানানো হয়েছিল। মূলত যেটা বলা হয়েছিল ৭ ও ৮ জুলাই নন ইন্টারলকিংয়ের কাজ হবে আন্দুলে। তার আগে আট দিন প্রাক নন ইন্টারলকিং কাজ চলবে। সেই সময়ই বাতিল করা হবে একাধিক লোকাল ট্রেন।
বলা হয়েছিল ২৯শে জুন ২টো, ৩০জুন তিন জোড়া, ১ জুলাই ২৯টি, ২ জুলাই ১৬টি, ৪ জুলাই ১৬টি, ৫ জুলাই ২৩টি, ৬-৭ জুলাই ১৫০টি লোকাল ট্রেন বাতিল থাকবে। কিন্তু এগুলি আগের নোটিশে বলা হয়েছে। পরে এই নোটিশকে এড়িয়ে চলার কথা বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রে ট্রেন বাতিলের নতুন নোটিশ না আসা পর্যন্ত এখনই এনিয়ে চূড়ান্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। অর্থাৎ কবে কোন ট্রেন চলবে, কবে কোন ট্রেন বাতিল হবে তা নিয়ে এখনই কোনও চূড়ান্ত নোটিশ নেই। সেক্ষেত্রে যাবতীয় জল্পনায় কান না দেওয়াটাই মঙ্গল।
এদিকে হাওড়া পুরী শতাব্দী, ধৌলি, আরণ্যক, কান্ডারি, ইস্পাত, তাম্রলিপ্ত সহ একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেনও বাতিলের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সেটাও এখনও ফাইনাল কোনও কিছু জানানো হয়নি।