বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > জয় শ্রীরাম শুনে মমতার উলটো পথে হাঁটলেন কুণাল, তেলেবেগুনে না জ্বলে একী করলেন!

জয় শ্রীরাম শুনে মমতার উলটো পথে হাঁটলেন কুণাল, তেলেবেগুনে না জ্বলে একী করলেন!

জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনে হাত মেলালেন তিনি

ভিড়ের পেছন থেকে কয়েকজন জয় শ্রীরাম আওয়াজ তোলেন। তখনই কুণাল ঘোষ দাঁড়িয়ে পড়েন। যারা ধ্বনি দিচ্ছিলেন তাদের বলেন, সামনের দিকে এগিয়ে আসুন। ভয় পাওয়ার কোনও ব্যাাপার নেই।

এর আগে বন্দে ভারতের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে দেখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি তুলেছিলেন কয়েকজন। এনিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। এমনকী সেদিন জয় শ্রীরাম শোনার পর থেকে আর মঞ্চে উঠতে চাননি তিনি। মঞ্চের নীচেই ঠায় বসেছিলেন তিনি। তার রেশ কাটার আগেই শুক্রবার তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে দেখেও জয় শ্রীরাম ধ্বনি ওঠে। তবে সেকথা শুনে ঠিক কী করলেন কুণাল? অনেকের মতে কার্যত মমতার উলটো পথে হাঁটলেন তিনি। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?

সূত্রের খবর, এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের খেঁজুরির বাঁশগোড়ার একটি ক্লাবের ক্রিকেট টুর্নামেন্টে কুণাল ঘোষ ও সুপ্রকাশ গিরি উপস্থিত ছিলেন। আর মাঠেই কুণালকে সামনে দেখে কয়েকজন জয় শ্রীরাম বলে চিৎকার শুরু করেন। এদিকে কুণাল কী করবেন তখন সেটাই ছিল মূল প্রশ্ন। তবে এদিন কুণাল ঘোষ একেবারেই উত্তেজিত হয়ে পড়েননি।তেলেবেগুনেও জ্বলেও ওঠেননি।

এদিন ভিড়ের পেছন থেকে কয়েকজন জয় শ্রীরাম আওয়াজ তোলেন। তখনই কুণাল ঘোষ দাঁড়িয়ে পড়েন। যারা ধ্বনি দিচ্ছিলেন তাদের বলেন, সামনের দিকে এগিয়ে আসুন। ভয় পাওয়ার কোনও ব্যাাপার নেই। নতুন বছরে ভালো থাকবেন। এরপর একজন এগিয়ে এলে কুণাল তাঁর সঙ্গে হাতও মিলিয়ে নেন। এরপর জোড় হাত করেন। এদিকে জয় শ্রীরাম ধ্বনি শুনে তৃণমূলের অন্য় নেতারা যখন তেলেবেগুনে জ্বলে উঠছেন তখন কুণাল একেবারেই অন্য পথে হাঁটলেন। 

তবে অনেকের মতে, যে ব্যক্তি জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়েছিলেন তিনি বিজেপি সমর্থক বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেই বিজেপি সমর্থকের সঙ্গে একবারে হাত মিলিয়ে ফেললেন কুণাল ঘোষ। কার্যত নেত্রীর উলটো পথে হাঁটলেন কুণাল ঘোষ। এমনটাই মনে করছেন অনেকে। একেবারেই উত্তেজিত না হয়ে তিনি স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে জোড়হাত করা শুরু করে দেন।

শীতের দিনে ভালো আয়োজন হয়েছে। আপনাদের নতুন বছর ভালো কাটুক। এই মাঠের পরিকাঠামো কীভাবে ভালো করা যায় সেটা প্রশাসন দেখবে। এখানে মাঠ দিয়ে ঘোরার সময় যা বুঝলাম এখানে জয় বাংলার স্লোগানের সমর্থকরাও যেমন আছেন তেমনি অন্য স্লোগানের সমর্থকরাও আছেন। আমি দুজনকেই বলব নতুন বছর আপনাদের খুব খুব ভালো কাটুক। তবে আপনারা যে স্লোগানই দিন না কেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, দুয়ারে রেশন সহ সরকারি যে সুবিধাগুলি রয়েছে সেগুলি প্রয়োগ করলেন।

 

বন্ধ করুন