শিক্ষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতি মাসে অল্প অল্প করে টাকা উধাও হচ্ছিল। কখনও দেড় হাজার বা কখনও সেই অঙ্ক দু’হাজার টাকা। মাস ছয়েকের ব্যবধানেই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে খালি হয়ে গেল ৫ লক্ষ টাকা!
কী কারণে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে এই টাকা উধাও হচ্ছিল, কিছুতেই ভেবে পাচ্ছিলেন না ওই স্কুল শিক্ষক বুদ্ধেশ্বর মাণ্ডি। একাধিকবার ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। সোমবার একপ্রকার বাধ্য হয়েই মন্তেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। বুদ্ধেশ্বরবাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
বুদ্ধেশ্বরবাবু বলেন, ‘আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে অল্প এল্প করে এত টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে, অথচ টাকা তোলা সংক্রান্ত ব্যাঙ্কের তরফে মেসেজ দেওয়া হয় তাও আমার কাছে আসেনি।’
ওই স্কুল শিক্ষকের দাবি, ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের ২৯ জুন পর্যন্ত মোট ১৭৮ বার তার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয়েছে। কখনও তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ১৬০০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে, কখনও ২ হাজার টাকা। এভাবেই গত ডিসেম্বর মাস থেকে একটু একটু করে এখনও পর্যন্ত মোট ১৭৮ বার তার অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা হয়েছে। ওই শিক্ষক জানিয়েছেন, করোনার মধ্যে তিনি তেমন ভাবে ব্যাঙ্কে যেতে পারেননি। শুধু তাই নয়, গত কয়েকমাস ধরে ব্যাঙ্কের পাশবই আপডেট করার মেশিন খারাপ থাকায়, তিনি তাঁর ব্যাঙ্কের পাসবইও আপডেট করতে পারেননি। সেই মেশিন ঠিক হলে, তিনি পাসবই আপডেট করাতে গিয়েই এই জালিয়াতির বিষয়টি জানতে পারেন। তৎক্ষণাৎ তিনি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষে সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু বুদ্ধেশ্বরবাবুর অভিযোগ, ব্যাঙ্কের তরফে এব্যাপারে কোনও সদুত্তর পাননি তিনি। বাধ্য হয়েই মন্তেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বুদ্ধেশ্বরবাবু।